মালদা হক জাফর, ইমাম: সরকারি সহায়তায় মাশরুম চাষ করে স্বনির্ভর যুবক সোনাই হালদার। বাড়ি পুরাতন মালদা ব্লকের সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাবনা পাড়ায়। সোনাইয়ের মাশরুম এলাকা বিখ্যাত বলে দূরদূরান্ত থেকে খদ্দের বাড়িতে এসে এই মাশরুম নিয়ে যায়। তার মাশরুম প্রচুর পরিমাণে চাহিদা। দূরদূরান্ত থেকে ফোন করে তার মাশরুম অগ্রিম বুক করেন। সোনায় হালদারের পরিবারে মা স্ত্রী ও তিন মাসের এক ছোট্ট মেয়ে নিয়ে তার সংসার। বাবা কয়েক বছর আগে মারা যাওয়ার পর সংসারের পুরোপুরি হাল ধরতে হয় তাকে। সে জানাই আগে এলআইসির এজেন্টের কাজ করে কোনরকম সংসার চালাতেন তিনি । তারপর এলআইসির কাজের পাশাপাশি ছোট্ট একটি টিনের ঘরে মাশরুম ব্যবসা শুরু করেন। দুধিয়া মাশরুম ও ঝিনুক মাশরুম এই দুই ধরনের মাশরুম চাষ করেন তিনি। দুধিয়া মাশরুম কেজি প্রতি ২০০ টাকা ও ঝিনুক মাশরুম কেজি প্রতি ১২০ টাকা দরে বিক্রি করেন। মাসে প্রায় সাত থেকে আট হাজার টাকা এই মাশরুম চাষ করে উপার্জন করেন বলে তিনি জানান। সরকার যদি আরো সাহায্য করে তাহলে সে বড় আকারে এই মাশরুম চাষ চালিয়ে যাবেন।তিনি আরো জানান, সরকারী বিভিন্ন মেলায় বিক্রি ও প্রদর্শনের জন্য বিনামূল্যে তাকে স্টল দেওয়া হয় তার ব্যবসায়ী উৎসাহিত করার জন্য। তাই তিনি মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। মাশরুমের এক ক্রেতা স্বপন সরকার জানান, তার এই মাশরুমের গুনগতমান ও স্বাদ অত্যন্ত ভালো তাই আমরা বহুদূর থেকে মাশরুম নিতে অগ্রিম ফোন করে তার বাড়িতে আসি।