মালদা

স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে আটকাতে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধরনায় স্ত্রী

হক জাফর ইমাম, মালদাঃ স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে আটকাতে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধরনায় বসলেন স্ত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে মালদা মোথাবাড়ি থানার বাবলার কমলপুর এলাকায়। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির আচরণে রীতিমতো ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। ঘটনায় মালদা মোথাবাড়ি থানার পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই গৃহবধূ। গৃহবধূর অভিযোগ, পুলিশের পক্ষ থেকে কোনও সাহায্য মেলেনি। তাই স্বামীকে ফিরে পেতে শ্বশুরবাড়ি সামনেই ধরনায় বসেছে স্ত্রী।২০১৪ সালের ২৯ শে জুন বেঙ্গালুরুতে কর্মরত ওয়াসিম আখতার সাথে বিয়ে হয় বান্ধবী সোনিয়া শেখের। সোনিয়ার অভিযোগ, প্রথমদিকে সবকিছু ঠিকঠাকই ছিল। বিয়ের পরে স্বামীর সঙ্গে বেঙ্গালুরুতে থাকতেন। চার বছর পর ২০১৮ সাল নাগাদ তার স্বামী ওয়াসিম মালদা মোথাবাড়িতে নিজের বাড়িতে ফিরে আসেন। তাদের মধ্যে এই নিয়ে সামান্য পারিবারিক বিবাদ হয়। ফলে সোনিয়া নদিয়ায় বাপের বাড়িতে এসে থাকতে শুরু করেন। অভিযোগ, তিনি চলে আসার পরে, শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা, এমনকি স্বামীও তাঁর কোনও খোঁজ নেননি। বরং তিনি শ্বশুরবাড়িতে ফিরে আসতে চাইলে তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে তাড়িয়ে দিতেন।
সম্প্রতি সোনিয়া জানতে পারেন তার স্বামী ওয়াসিম আখতার দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি শুরু করেছেন। আর খবর পাওয়া মাত্রই তিনি নদিয়া থেকে মালদা ছুটে আসেন। কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে ঢুকতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হন। তার মুখের উপর গেট বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।  এরপর বাধ্য হয়ে তিনি মালদা মোথাবাড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। গৃহবধূর অভিযোগ, পুলিশকে সব কিছু জানানোর পরেও কোনও লাভ হয়নি। কোনও সাহায্য মেলেনি প্রশাসনের তরফ থেকে। তাই স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে আটকাতে এবং স্বামীকে ফিরে পেতে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধরনায় বসেছেন তিনি। এদিকে ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো ক্ষুব্ধ গ্রামের মানুষজন। তারা জানিয়েছেন সোনিয়া শেখ যে কাজ করেছেন তা একদম ঠিক। তারাও তার পাশে আছেন। কোনও মতেই এক স্ত্রী থাকতে তারা আর কোনও বিবাহ করতে দেবেন না তারা। এ নিয়ে অভিযুক্ত ওয়াসিম আখতার সংবাদমাধ্যমের সামনে কোন মন্তব্য করতে চাননি।  এমনকি সংবাদমাধ্যমে কর্মীরা তার বাড়িতে গেলে ওয়াসিমের  বাবা গোলাম মোস্তাফা গেট পর্যন্ত খোলেননি। তিনি বলেন, তার পক্ষে তার পুত্রবধূকে বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া সম্ভব নয়।