মালদা

হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগ থেকে চুরি যাওয়া পুত্র সন্তান উদ্ধার

হক জাফর ইমাম, মালদাঃ মালদা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগ থেকে চুরি যাওয়া পুত্র সন্তান উদ্ধার হলো শনিবার। মালদা ইংরেজবাজার থানার পুলিশের সহযোগিতায় শিশু সন্তান উদ্ধার হওয়ায় খুশি মা ও তার পরিবার।প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ধুলিয়ানের বাসিন্দা সীমা দাস ভর্তি হন মালদা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে।সিজার করে গত ৮ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে তার পুত্র সন্তান প্রসব হয়। মালদা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগ থেকে ১০ এপ্রিল চুরি হয়ে যায় শিশুটি। এরপর প্রসূতি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। তদন্তে নামে পুলিশ। দেখতে দেখতে চার মাস কেটে যায়, কিন্তু আশা ছাড়েননি ওই শিশুর মা। তিনি বারবার পুলিশের দ্বারস্থ হন। এমনকি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ নিয়ে তদন্ত শুরু করে মালদা ইংরেজবাজার থানার পুলিশ।শনিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই শিশুটির মা এবং পুলিশ মালদা শহরের বুড়াবুড়ি তলা এলাকায় হানা দেয়। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় শিশুটিকে। তার সাথে পুলিশ গ্রেপ্তার করে এক মহিলাকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ধৃত মহিলার নাম রিঙ্কি চৌধুরী(৩৫)। তার বাড়ি বুড়াবুড়ি তলা এলাকায়। উদ্ধার হওয়া শিশুর মা সীমা দাস জানিয়েছেন, গত ১০ এপ্রিল মালদা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগ থেকে তার শিশুটি চুরি যায়। বহু খোঁজাখুঁজি করেও কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি শিশুটির এরপর পুলিশে অভিযোগ করা হয়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। হাল ছাড়িনি তাড়াও। সেই ছবি নিয়ে হন্যে হয়ে ঘুরতেন ওই শিশুটির খোঁজে। অবশেষে এক মহিলার মারফত তিনি জানতে পারেন এই মহিলার নাম রিংকী চৌধুরী, বাড়ি বুড়াবুড়ি এলাকায়। ঘটে যায় সিনেমার মতো ঘটনা। ঠিকানার খোঁজ করে সোজা হানা দেয় ওই বাড়িতে। মালদা ইংরেজবাজার থানার পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার হয় শিশুটি। ওই মহিলা আরও জানিয়েছেন, তার স্বামী বিদ্যাসাগর দাস একটি তেলেভাজার দোকান করেন। তাদের এটি প্রথম সন্তান।পুলিশের সহযোগিতায় শিশুটি উদ্ধার হওয়ায় তার নাম রাখা হয়েছে ‘আবিষ্কার’। শিশু সন্তানকে ফেরত পেয়ে আবেগে মহিলা বলেন পুজোর আগে তার সন্তানকে ফিরে পেয়ে খুশি তারা। ধৃত মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে মালদা ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। রবিবার তাকে জেলা আদালতে তোলা হবে।