জেলা

৪৩৪ কোটির কান্দি মাস্টার প্ল্যানে উপকৃত হবেন ৫ লক্ষ মানুষ, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

মুর্শিদাবাদঃ কান্দি মাস্টার প্ল্যান প্রায় শেষের পথে। আজ সাগরদিঘিতে একটি সভায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, ৪৩৪ কোটি টাকার কান্দি মাস্টার প্ল্যান সম্পূর্ণ হলে এই প্রকল্প থেকে প্রায় পাঁচ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন। বাহালনগরের পাশেই ধুমারপাহাড় গ্রামের মাঠে এই সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সভা থেকেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, ‘‌এই অঞ্চলে বাঁধ সংরক্ষণের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। আট বছরে এক লক্ষ একরের বেশি জমি সেচের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। ২০১১ সালে বাংলায় সেচের জমির সংখ্যা ছিল ২২,‌৬৫০ একর। আর এখন হয়েছে এক লক্ষ ২৩ হাজার ৮৪০ একর। এই জেলায় ২২ হাজার ছেলেমেয়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠিতে ১২৭ টাকার সরকারি অনুদান পেয়েছেন। এই জেলায় যুবশ্রী আছে ২৪ হাজারেরও বেশি। তৈরি হয়েছে একাধিক পর্যটন কেন্দ্র। তৈরি হয়েছে একধিক ছোট–মাঝারি শিল্প। এখানে এক হাজার কোটি টাকার রাস্তার প্রকল্পের কাজ চলছে। এক লক্ষ ২৫ হাজারের বেশি পরিবার আবাস যোজনার আওতায় বাসস্থান পেয়েছে। গ্রামীণ সড়ক প্রকল্পের কাজও সমাপ্ত হয়েছে। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গে শুধু পঞ্চায়েত থেকে এক কোটি ৮৩ লক্ষ শ্রমদিবস তৈরি করতে পেরেছি।’‌  রাজ্যের কৃষকদের চাষের জমির বিমা করিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। বিনা পয়সায় শষ্য বিমার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিমার খরচ বহন করবে রাজ্য সরকারই। আর তার জন্য সরকারের মোট খরচ হচ্ছে ৭০০ কোটি, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বললেন,‌ ‘‌কোনও কৃষক যদি ৬০ বছরের আগেই যগি রোগাক্রান্ত হয়ে মারা যান, সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকার ওই কৃষকের পরিবারকে দু’‌লক্ষ টাকা দেয়। আর এখন কৃষি জমি মিউটেশনের জন্যেও কোনও টাকা লাগে না। কৃষকদের ভাতার পরিমাণ ৭৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে রাজ্যের তৃণমূল সরকার ১০০০ টাকা করেছে। এই সরকার কন্যাশ্রীর জন্যে দেয় প্রায আট হাজার কোটি টাকা। এই জেলায় সাতটি নতুন আইটিআই গড়ে তোলা হচ্ছে। তৈরি করা হচ্ছে পলিটেকনিক কলেজ। এছাড়া পাঁচ লক্ষ ছেলেমেয়েদের সবুজ সাথী প্রকল্পের আওতায় সাইকেল দেওয়া হয়েছে। সারা বাংলায় এক কোটিরও বেশি। মুর্শিদাবাদে তৈরি হচ্ছে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়।’‌      ‌‌‌