দেশ

অসমবাসীকে শান্ত করতে টুইট প্রধানমন্ত্রীর, অতচ ভুলেই গেলেন ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ অসমে

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে উত্তাল অসমকে শান্ত করতে ময়দানে নামতে হল খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেই। অসমবাসীর উদ্দেশ্যে টুইট করে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘‌নাগরিকত্ব বিল নিয়ে আশঙ্কার কোনও কারণ নেই। কেউই আপনাদের অধিকার কেড়ে নিতে পারবে না।’‌ প্রধানমন্ত্রী টুইটে এও লেখেন, ‘আমি অসমের ভাই এবং বোনেদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, সিএবি পাশ হওয়ায় তাঁদের আশঙ্কার কোনও কারণ নেই। আমি তাঁদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, কেউই আপনাদের পৃথক পরিচয়, সুন্দর সংস্কৃতি-র অধিকার কেড়ে নিতে পারবে না। এটা ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি পাবে। কেন্দ্রীয় সরকার এবং আমি আপনাদের রাজনৈতিক, ভাষাভিত্তিক, সাংস্কৃতিক এবং জমির অধিকার নিয়ে সাংবিধানিক নিরাপত্তা দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’  কিন্তু বিষয়টি হল, কী লাভ এই টুইট করে?‌ বুধবার থেকে অসমে ক্যাব বিরোধী আন্দোলন চরম আকার ধারণ করলে সেখানকার ইন্টারনেট ব্যবস্থাই করে দেওয়া হয়। অসমবাসীকে শান্ত করতে গিয়ে টুইটারে যে কথা লিখছেন প্রধানমন্ত্রী, তা তো দেখতেই পারবেন না সেখানকার সাধারণ মানুষ। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে টুইটারে লেখা হয়েছে, ‘‌অসমকে শান্ত করতে টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী। অথচ তিনি ভুলেই গিয়েছেন, গতকাল থেকে সেখানে বন্ধ ইন্টারনেট ব্যবস্থা।’‌  উত্তর পূর্ব ভারতের একাধিক রাজ্যে ইন্টারনেট পরিষেবা ও মোবাইল পরিষেবায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। সেনা নামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। এদিন আন্দোলনের তীব্রতা এতই বেশি ছিল যে ডিব্রুগড়ে সেনা নামাতে বাধ্য হয় অসম সরকার। গুয়াহাটিতে এদিন প্রতিবাদীদের সামলাতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এরপর সিআরপিএফ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ বাঁধে। ভানগড়ে এদিন আটকে দেওয়া হয় সিআরপিএফকে। ছাত্রদের বিশাল মিছিলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সেই সময় ফের কাঁদানে গ্যাস প্রয়োগ করে জমাতেয় ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। এছাড়াও ডিব্রুগড়ের চৌলধোয়ায় এদিন অসম মেডিকেল কলেজের ছাত্ররা প্রতিবাদে নামেন।