দেশ

‘অহেতুক বিতর্ক করবেন না’, আদানির ১০০ কোটি টাকার অনুদান প্রত্যাহার করে বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর রেবন্ত রেড্ডি-র

আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ ৷ আর তার জেরে ইয়ং ইন্ডিয়া স্কিল ইউনিভার্সিটিতে আদানিদের ১০০ কোটির অনুদান প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিল তেলেঙ্গানা সরকার ৷ সোমবার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি সাংবাদিক বৈঠক করে জানান যে তিনি পূর্ব ঘোষিত এই অনুদান প্রত্যাহারের বিষয়ে নিয়ে আদানি গ্রুপকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন । এদিন তিনি বলেন,”কয়েকদিন ধরে সারা দেশে আদানি নিয়ে আলোচনা চলছে । কিছু লোক আদানি থেকে অনুদান পাওয়ার জন্য তেলেঙ্গানা সরকারের সমালোচনা করছে । আমরা তাই তা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সাংবিধানিক এবং আইনগতভাবে, আমরা আদানিকে বিনিয়োগের অনুমতি দেব। আমরা টেন্ডার তৈরি করছি এবং প্রকল্পগুলি প্রদান করছি । আইন অনুযায়ী এই দেশে যে কোনও কোম্পানির ব্যবসা করার অধিকার আছে ৷” তাঁর কথায়, “আম্বানি, আদানি, টাটা… যে কারও তেলেঙ্গানায় ব্যবসা করার অধিকার আছে । দৃঢ় সংকল্পের সঙ্গে আমরা লক্ষাধিক বেকার যুবক-যুবতিকে প্রযুক্তিগত দক্ষতা প্রদানের জন্য স্কিল ইউনিভার্সিটি চালু করেছি । আমার মন্ত্রিসভার সহকর্মীরা, আমি এবং আমাদের সরকার চাই না মহান উদ্দেশ্য নিয়ে শুরু হওয়া এই ইউনিভার্সিটি বিতর্কে জড়িয়ে পড়ুক । আমরা কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার অধীনে ঘোষিত 100 কোটি টাকা না দেওয়ার জন্য গ্রুপকে একটি চিঠি পাঠিয়েছি । রাজ্য সরকারকে অহেতুক বিতর্কে টেনে আনবেন না । এখনও পর্যন্ত ওদের থেকে তেলেঙ্গানা সরকারের অ্যাকাউন্টে কোনও টাকা আসেনি ।” তিনি অভিযোগ করেন যে, বিআরএস সরকার আগে আদানি গ্রুপকে অনেক প্রকল্প প্রদান করেছে । তাদের কাছ থেকে কমিশন নেন বিআরএস নেতারা ৷ তাঁর কথায়, “কেটিআর জেলে যেতে মরিয়া ৷ তিনি মনে করেন জেলে গেলেই তিনি মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন। কেসিআর কন্যা কবিতা ইতিমধ্যেই জেলে গিয়েছেন এবং যাঁরা যাঁরা আগামিদিনে জেলে যাবেন তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগেই কবিতা হয়ে যাবেন। কেসিআর পরিবারেই মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা আছে ।”