হক জাফর ইমাম, মালদাঃ গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে মারার অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। মৃত্যু নিশ্চত ভেবে তারপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে বলে অভিযোগ। অভিযোগ, দাবি মতো পণ না দেওয়ায় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হত দিনের পর দিন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম রুম্পা খাতুন(১৮)। মালদা গাজোল থানার বৈরগাছি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের নয়াপাড়া এলাকায় বাড়ি তাঁর। আনিকুল হকের সঙ্গে মাস সাতেক আগে তাঁর বিয়ে হয়। প্রেমের পর পালিয়ে বিয়ে করে তাঁরা। পরে দুই পরিবার মেনে নেয়। এদিকে পণের জন্য বধূকে চাপ দেওয়া হয় শ্বশুরবাড়ি থেকে। না দেওয়ায় মারধর করা হত তাঁকে। স্বামী পেশায় নির্মাণ সহায়ক। সংশ্লিষ্ট থানার রাইখাদিঘিতে মৃতার বাবার বাড়ি। জামাইবাবু রাহুল আমিন অভিযোগ করে বলেন,‘প্রেম করে বিয়ে করে তারা। পরে আমরা মেনে নিই। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই মেয়ের ওপর অত্যাচার শুরু করে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। আমরা নিশ্চিত ওরাই শ্বাসরোধ করে মেরে পরে হাসপাতালে নিয়ে গেছে। হাসপাতালে গিয়ে কীটনাশক পানের কথা বলেছে ওরা। কিন্তু কীটনাশকের কোনও গন্ধই আমরা মুখ থেকে পাই নি। আমরা নিশ্চিত, শ্বাসরোধ করে মারা হয়েছে মেয়েকে। মৃত গৃহবধূর পরিবারের তরফ থেকে থানায় স্বামী সহ শ্বশুর ও শাশুড়ির নামে অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।