জেলা

গোষ্ঠী সংক্রমণ রুখতে হাওড়ার ৩০টি জায়গায় নাকা চেকিং, স্পর্শকাতর এলাকায় চলছে পুলিশের রুট মার্চ

হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের ষোলোটি থানা এলাকায় ৩০টি পয়েন্টে চলছে জোরদার নাকা চেকিং। জরুরি কাজ ছাড়া বাইরে বেরোলেই আটকানো হচ্ছে মানুষজনকে। গ্রেফতার করা হচ্ছে। বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে গাড়ি ও মোটরবাইক। জমায়েত এড়াতে বাজারগুলোর ওপর চলছে নজরদারি। সামাজিক দূরত্ব মানতে চাইছেন না বেশিরভাগ মানুষ তাই হট স্পট জোনে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বাজার। উত্তর হাওড়ার হরগঞ্জ বাজার ও পিলখানা বাজার, মধ্যহাওড়ার কালীবাবুর বাজার ও শিবপুর বাজার সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এইসব এলাকায় পুলিশের পক্ষ থেকে হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ করে অর্ডার নেওয়া হচ্ছে। কোনও রকম ডেলিভারি চার্জ ছাড়াই বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে খাবার। আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। দাশনগর থানা এলাকার বালিটিকুরি বাজার ও ব্যাঁটরা থানা এলাকার কদমতলা বাজার বন্ধ করা হচ্ছে। জনবহুল এলাকা থেকে কিছু বাজার ফাঁকা জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে এগুলো বন্ধ করা হতে পারে। স্পর্শকাতর এলাকায় চলছে পুলিশের রুট মার্চ। বিশেষ করে শিবপুর, হাওড়া, ব্যাঁটরা, গোলাবাড়ি ও মালিপাঁচঘরা থানা এলাকায় পুলিশের রুট মার্চ চলছে। ড্রোন ও সিসিটিভির মাধ্যমেও চলছে নজরদারি। বিভিন্ন থানা ও বাজার এলাকায় চলছে জীবাণুমুক্ত করার কাজ। কমিউনিটি পোলিশিংয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে। আপতকালীন পরিষেবা পেতে লকডাউন সময়ে যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সেজন্য প্রস্তুত প্রশাসন। তবে প্রশ্ন হল লোকে কবে সচেতন হবে। এখনও অনেকেই সচেতন নন বলেই প্রশাসনকে কঠোর হতে হচ্ছে। আগামী শনি ও রবিবার শহরের সব বাজার বন্ধ থাকবে এবং শনিবার, রবিবার ও সোমবার বন্ধ থাকবে হাওড়া শহরের সব দোকান। প্রতি সপ্তাহে দু’দিন করে বাজার বন্ধ থাকবে ও তিনদিন দোকান বন্ধ থাকবে বলে শুক্রবার মাইকে করে শহরের বিভিন্ন জায়গায় প্রচার করা হয়েছে।