কলকাতা

চতুর্থীর দিন শহরে উদ্ধার ৩ টি মৃতদেহ

কলকাতা: উৎসবের শহরে উদ্ধার তিনটি মৃতদেহ। বুধবার সকালে দক্ষিণ কলকাতার গড়ফা এলাকা থেকে উদ্ধার হয় দুই ভাইয়ের মৃতদেহ। এদিন গড়ফার কিশলয় স্কুল রোডের এক ফ্ল্যাট থেকে দুটি দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।মৃতদের নাম পার্থ গঙ্গোপাধ্যায় ও গৌতম গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁদের আনুমানিক বয়স ৬০-৬৫ বছরের মধ্যে। এদিন তাঁদের দু’জনেরই হাত ও পায়ের শিরা কাটা অবস্থায় উদ্ধার হয়। সূত্রের খবর, প্রতিবেশীরা বাড়ির ভিতর থেকে কোনও সারা-শব্দ না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঢুকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেহ উদ্ধার করে পার্থবাবুর। এরপর ভিতরের ঘরে যেতেই বিছানার উপর থেকে গৌতমবাবুর দেহ উদ্ধার হয়।প্রাথমিক অনুমান অনুযায়ী, দুই ভাই আত্মহত্যা করেছে। ঘর থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া না গেলেও তিনটি রক্ত লাগানো ব্লেডও উদ্ধার হয়েছে। দেহ দুটিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।এই ঘটনার পাশাপাশি এদিন রিজেন্ট পার্ক থানার অন্তর্গত বাঁশদ্রোণী পার্কের কাছে গীতাঞ্জলী অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধায় হয় একাকী বৃদ্ধার পচা-গলা দেহ। গীতাঞ্জলী অ্যাপার্টমেন্টের দোতলায় বন্ধ ঘরে কেয়া মুখার্জী (৬০) নামে এক বৃদ্ধার দেহ পাওয়া যায়।স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার সকালে কেয়াদবীর দোতলার ঘর থেকে চরম দুর্গন্ধ বেরতে থাকে। তারপরই পুলিশে খবর দেন প্রতিবেশীরা। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকার পর দেখা যায় সোফার ওপর পড়ে রয়েছে তাঁর পচাগলা দেহ। প্রতিবেশীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, গত সাতদিন ধরে ঘরের দরজা খোলেন নি এই বৃদ্ধা। তবে আজ সকালে পচা গন্ধ পাওয়ার পরই তাঁরা স্থানীয় থানায় খবর দেন। পুলিশ সূত্রে খবর, আপাতত বৃদ্ধার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কী কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে সে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।প্রতিবেশীরা জানান, ফ্ল্যাটটিতে একাই থাকতেন কেয়াদেবী। কয়েকদিন আগেই তাঁর দাদার মৃত্যু হয়েছে। তাঁর আর কোনও আত্মীয়স্বজন আছে কিনা তাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। সেক্ষেত্রে তিনি ঠিকমতো খেতে পাচ্ছিলেন কিনা সে বিষয়েও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।