ফের এবিভিপি–র সদস্যদের তাণ্ডবের সাক্ষী জেএনইউ–র হস্টেল। সোমবার রাতে নর্মদা হস্টেলের আবাসিক ছাত্র রাঘিব ইক্রমকে বেধড়ক মারধর করে এবিভিপি–র সদস্য ছাত্ররা বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম রাঘিব সফদরজং হাসপাতালে ভর্তি। প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী, রবিবার নর্মদা হস্টেলে আয়োজিত বিশেষ নৈশভোজ খেতে কলা বিভাগের স্নাতকস্তরের দ্বিতীয় বর্ষের তিন ছাত্রকে বাধা দিয়েছিলেন সিনিয়র ছাত্র রাঘিব। দ্বিতীয় বর্ষের ওই তিন ছাত্রই এবিভিপি–র সদস্য। অভিযোগ, এরপরই তারা রাঘিবকে বেধড়ক মারধর করে। রাঘিবের ভাই সংবাদসংস্থা এএনআই–কে বলেন, রাঘিবের রুমমেটটা তাঁকে বলেছেন, হামলাকারীরা পেটানোর সময় বলেছিল, যেহেতু তিনি মুসলিম সেহেতু যেভাবে কাশ্মীরের ছাত্র নাজিবকে গায়েব করে দিয়েছে, সেভাবেই রাঘিবকেও তারা গায়েব করে দেবে। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, গত কয়েক বছর আগে জেএনইউ–র ছাত্র, জম্মু–কাশ্মীরের বাসিন্দা, নাজিবের রহস্যজনকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকে উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা, নাজিবের বন্ধু, সহপাঠী এবং তাঁর মা এব্যাপারে এবিভিপি–র হাত থাকার অভিযোগ করলেও তা মানতে চায়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেসময় দীর্ঘ আন্দোলন হলেও কালের নিয়মে তা থিতিয়ে যায়। রাঘিবের ভাই আরও অভিযোগ করেছেন, দাদাকে হাসপাতালে আনার সময় হামলাকারীদের দরজায় এবিভিপি–র পোস্টার সাঁটা দেখেছেন। যা ইঙ্গিত করছে তাদের রাজনৈতিক যোগ নিয়ে।
যদিও এবিভিপি–র তরফে সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলা হয়েছে, ওই সিনিয়র ছাত্র তিন জুনিয়র ছাত্রকে র্যাগিং করছিলেন।