মালদা জেলা তৃণমূলের সহসভাপতি ও ইংরেজবাজার পুরসভার কাউন্সিলর দুলাল সরকার গুলিবিদ্ধ হন বৃহস্পতিবার সকালে। ঝলঝলিয়া মাতাল মোড়ে দু’টি মোটরবাইকে চার দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় বলে অভিযোগ। একটি গুলি লাগে তৃণমূল নেতার মাথার পিছন দিকে। এরপরই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে । রাজনৈতিক রঙ না দেখে ব্যবস্থা নিক পুলিশ, নির্দেশ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের । এই ঘটনায় পুলিশকে তোপ দেগেছেন খোদ পুলিশমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে মালদহে পাঠিয়েছেন তিনি। ঘটনার দুঃখপ্রকাশ করেছেন মমতা। তিনি লিখেছেন, দুলাল সরকার ও তাঁর স্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম দিন থেকেই কঠোর পরিশ্রম করেছেন। তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ। জানা গিয়েছে, খুব কাছ থেকে গুলি চালানো হয়েছে দুলাল সরকারকে লক্ষ্য করে। তিনটি গুলি লেগেছে তাঁর । স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয় থেকে বেরিয়ে নিজের কারখানার দিকে যাচ্ছিলেন দুলাল । সেই সময়ই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় পিছনের দিক থেকে । চারজন দুষ্কৃতী দুটি বাইকে করে আসে । পিছন থেকে মোট চার রাউন্ড গুলি চালানো হয় বলে খবর । তার মধ্যে তিনটি গুলি লেগেছে দুলাল সরকারের। গোটা ঘটনা ঘিরে যথেষ্ট উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এলাকায় । কী কারণে দুলাল সরকারকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হল, খতিয়ে দেখছেন পুলিশ আধিকারিকেরা । ব্যবসায়িক কারণে, নাকি রাজনৈতিক বৈরিতার জেরে গুলি চালানো হয়েছে তৃণমূল নেতাকে নিশানা করে, সেটাও খতিয়ে দেখছেন পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিকেরা । ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন পুলিশ ও প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা । গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন তাঁরা । এলাকায় কোনও সিসিটিভি রয়েছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে । সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া গেলে তদন্তে সুবিধা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে । নবান্ন সভাঘরে প্রশাসনিক বৈঠকের শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রী এই খুন প্রসঙ্গে বলেন, ”আমার খুব পরিচিত একজন, বাবলা সরকার খুন হয়েছে। ওর সিকিউরিটি ছিল আগে। এখন তুলে নিয়েছে। আমি ববি হাকিম, সাবিনাকে পাঠাচ্ছি। পুলিশের ব্যর্থতার জন্য হয়েছে।”
