মালদা

নদী ভাঙ্গনে আতঙ্কিত রতুয়া দেবীপুর এলাকার বাসিন্দারা

হক জাফর ইমাম, মালদাঃ ফুলহার নদী ভাঙ্গনে আতঙ্কিত রতুয়া দেবীপুর এলাকার বাসিন্দারা। যেভাবে দ্রুত ভাঙ্গন শুরু হয়েছে তাতে আতঙ্কিত রতুয়া দেবীপুর এলাকার বাসিন্দারা। শুক্রবার বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভাঙ্গনের শিকার হয়েছে পাঁচটা আম বাগান এবং নদীর সাথে লাগোয়া বাঁধের বেশ খানিকটা অংশ। শুক্রবার রাতে বাঁধ মেরামতের কাজে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন সেচ দফতরের কর্মীরা। পরিস্থিতি এতটাই ঘোরালো হয়ে উঠে যে শেষ পর্যন্ত পুলিশ ডাকতে হয়। গ্রামবাসীদের ক্ষোভ, ভাঙ্গন শুরু হওয়ার পরে লোক দেখানো বাঁধ মেরামতের কাজ হচ্ছে। এই কাজ আরও আগে করা উচিত ছিল। তবে সেচ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার বদিরুদ্দিন সেখ বলেন, আগে প্রয়োজনীয় অর্থ পাওয়া যায়নি। এখন আপাতত বাঁধ মেরামতের কাজ চলছে। বাঁধ বাঁচাতে সকলের সাহায্য প্রয়োজন। এলাকার লোকেরা জানিয়েছেন, এই বাঁধটি রতুয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের জন্য

রক্ষাকবচের কাজ করে। এই বাঁধ যদি ভেঙে যায় তাহলে একসাথে অনেকগুলো পঞ্চায়েত এলাকা জলে ভেসে যাবে। লক্ষাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এগুলো সেচ দপ্তরের আগেই ভাবা উচিত ছিল। চাঁচলের মহকুমা শাসক সব্যসাচী রায় বলেন, ফুলহার নদীতে কিছু এলাকায় ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। বাঁধ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেই জন্য সেচ দপ্তর সবরকমের চেষ্টা চালাচ্ছে। অপরদিকে জল বাড়ছে মহানন্দা নদীতেও। বিপদ সীমার ১ মিটার এর চেয়েও কম উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে মহানন্দা নদীর জল। শনিবার সকালে চাঁচোল ১ ব্লকের মহানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বালুচর গ্রামে মহানন্দা নদীর জল ঢুকে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চল্লিশটি পরিবার। তাদের অনেকেই গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে শুরু করেছেন। ওই গ্রামের বাসিন্দা মোমতাজ আলী বলেন, অনেকের বাড়িতেই জল ঢুকে গেছে। রাস্তাঘাট ও জলে ডুবে গেছে। মহানন্দা জল আরো বাড়লে আরো অনেক গ্রামে জল ঢুকবে। ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যেইসব গ্রামে জল ঢুকেছে সেই সব এলাকার পঞ্চায়েতকে কাজে নেমে পড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জলমগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।