দেশ

‘পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী’ আদিত্য ঠাকরেকে স্বাগত জানিয়ে পোস্টার তাঁর বিধানসভা কেন্দ্র ওরলিতে

মহারাষ্ট্র: আদিত্য ঠাকরেকে রাজ্যের ভাবী মুখ্যমন্ত্রী বলে স্বাগত জানিয়ে পোস্টার পড়ল ওরলিতে। মহারাষ্ট্রের এই কেন্দ্র থেকেই ভোটে জিতেছেন শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত বালাসাহেব ঠাকরের নাতি আদিত্য ঠাকরে।শিবসেনার সভাপতি উদ্ধব ঠাকরের ছেলে আদিত্যই প্রথম যিনি এই পরিবার থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেন।  ২৯ বছরের আদিত্য জীবনের প্রথম নির্বাচনে এনসিপির সুরেশ মানেকে ৬৭ হাজারের বেশি ভোটে হারিয়েছেন ওরলি কেন্দ্র থেকে।বৃহস্পতিবার ভোট গণনার মাঝেই উদ্ধব ঠাকরে প্রশ্ন করে বসেন, এবার মুখ্যমন্ত্রী পদটি শিবসেনাকে ছেড়ে দিতে বিজেপি রাজি আছে কিনা।  সাংবাদিক বৈঠকে উদ্ধব ঠাকরে বলেন, “গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল, কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন? লোকসভা ভোটের সময় আমরা রাজ্যের জন্য ৫০: ৫০ ফর্মুলা দিয়েছিলাম। চন্দ্রকান্ত পাটিল (মহারাষ্ট্রে বিজেপির রাজ্য সভাপতি) কয়েকটা প্রশ্ন তুলেছিলেন যেগুলো আমরা মেনে নিয়েছিলাম, কিন্তু আমরা আর মানব না।  যত যাই হোক, আমাদেরও তো দলটা চালাতে হবে। যদি দরকার হয় তা হলে (বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি) অমিত (শাহ) জি এখানে আসুন এবং বলুন আগে কী কথা হয়েছে। ”২০১৪ সালের নির্বাচনে বিজেপি ও শিবসেনার মধ্যে প্রাকনির্বাচনী কোনও জোট হয়নি।  ভোটে বিজেপি ১২২টি ও শিবসেনা ৬৩টি আসন পেয়ে সরকার গড়ে।  মুখ্যমন্ত্রী হন বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ।  সদ্যসমাপ্ত ভোটে বিজেপি পেয়েছে ১০৫টি ও শিবসেনা পেয়েছে ৫৭টি আসন।  দুই দলেরই আসন কমেছে, তবে এখন বেশি বিপাকে বিজেপি। এই পরিস্থিতিরই সুযোগ নিতে চাইছে শিবসেনা।২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় এবার সবচেয়ে লাভবান হয়েছে শরদ পওয়ারের ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি)। এবার তারা ১৩ আসন পেয়ে রাজ্যের তৃতীয় বৃহত্তম দল হয়েছে।  তাদের আসনসংখ্যা ৫৪।  চতুর্থ স্থানে নেমে গেছে কংগ্রেস, তাদের আসন সংখ্যা এখন ৪৪।শরদ পওয়ার স্পষ্ট ভাবেই জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা বসছেন বিরোধী আসনেই। সরকার কী নীতিতে গড়া হবে তা বিজেপি-শিবসেনা জোটের ব্যাপার বলে এ প্রসঙ্গে বাড়তি কিছু বলতে চাননি।মহারাষ্ট্রে একক ভাবে সরকার গড়ার ক্ষমতা বিজেপির নেই।  এই অবস্থায় তারা শরদ পওয়ারকে না পেলে শিবসেনার সঙ্গেই তাদের আলোচনায় বসতে হবে।  কিন্তু শিবসেনা যদি মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে অনমনীয় মনোভাব দেখায়, এবং বিজেপি তা মানতে না চায়, তা হলে সরকারে ফর্মুলা কী হবে বলা মুশকিল। তবে শোনা যাচ্ছে অমিত শাহ নিজে মুম্বইয়ে যাবেন সরকার গড়া নিয়ে শিবসেনার সঙ্গে আলোচনা করতে।