কলকাতাঃ মিরাকেল। এই শব্দটি ছাড়া এই ঘটনায় আর কোনও শব্দই যথেষ্ট নয়। আর যদি বলতেই হয়, তাহলে চিকিৎসকদের কৃতিত্বকেই এক বাক্যে স্বীকার করে নিতে হয়।যদিও চিকিৎসা বিজ্ঞানেও যে এই ঘটনার উদাহরণ নেই, তা জানিয়েছেন মেডিকেল কলেজের একদল চিকিৎসক। সালটা ২০১৭। কলকাতা মেডিকেল কলেজে ইডেন বিল্ডিংয়ে বিরল ক্যানসার কোষের দুটি টিউমার নিয়ে জন্ম নেয় এক সদ্যোজাত। মেরুদণ্ডের শেষ প্রান্তে যেখানে লুপ্ত লেজ সেখানে এই টিউমার ছিল। তার একটিতে ছিল মস্তিস্কের ক্যানসার টিউমারের কোষ। চিকিৎসকদের পরিভাষায়, একটি টিউমারে দু’ধরনের ক্যানসার কোষ বিরলতম। এরপরেই চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নেন টিউমারটি অস্ত্রোপচার করা হবে। দেওয়া হবে কেমোথেরাপি। সেইমতোই চলছিল চিকিৎসা।কিন্তু হঠাৎই দেখা যায় কেমো শুরু করতেই তলপেটে বাড়তে শুরু করেছে আরও একটি টিউমার। আর সেখানেও ক্যানসারের কোষ রয়েছে। তারপরেই চিকিৎসকরা একরত্তির যন্ত্রণা লাঘব করতে কেমোথেরাপি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন। আর তাতেই ঘটে মিরাকেল। কেমো বন্ধ করতেই ছোট্ট মিনুর পেটের মধ্যে বেড়ে চলা ক্যানসার টিউমার একেবারে ‘ভ্যানিশ’ হয়ে যায়। পরে বার বার পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে কিন্তু তা আর ফিরে আসেনি, যা একেবারে অভাবনীয় বলে জানান পেডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সুকান্ত দাস।চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মিনু যখন জন্মায় তখন তাঁর শরীরের অর্ধেক ওজন ছিল টিউমারের। মেয়ে অসুস্থ জানতেই তাঁকে রেখে পালিয়ে যায় মা। এরপর থেকেই মিনুর সমস্ত দায়িত্ব নেন মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক, নার্স, চতুর্থ শ্রেণির কর্মীরা। তাঁরাই ছোট থেকে মানুষ করছেন তাঁকে।