মালদা

রথের মেলা থেকে নাবালিকাকে অপহরণের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য

হক জাফর ইমাম, মালদা: রথের মেলা থেকে নাবালিকাকে অপহরণের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াই পুরাতন মালদার সাহাপুর এলাকায়৷শুক্রবার ভোরে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়েছে৷ ঘটনায় দুই যুবকের বিরুদ্ধে মালদা থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেছে ওই নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে। অপহৃত নাবালিকার বাড়ি পুরাতন মালদার সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি গ্রামে৷ তার বাবা পেশায় নির্মাণ শ্রমিক৷ মা গৃহবধূ৷ সে মালদা শহরের একটি স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ে৷ গতকাল বিকেলে এক বান্ধবীর সঙ্গে সাহাপুর দ্বিতীয় সেতুতে রথের মেলা দেখতে গিয়েছিল সে৷ সেখানেই তার বান্ধবীকে ধাক্কা দিয়ে তাকে মোটরবাইকে তুলে চম্পট দেয় দুই যুবক৷ তাদের একজনের নাম সোহেল খাঁন৷ তার বাড়ি মালদা শহরের বিএস রোড এলাকায়৷ আজ ভোরে সেই এলাকা থেকেই ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করা গেছে৷নাবালিকার মা জানান, গতকাল রথের মেলা দেখতে যায় তাঁর মেয়ে৷ তার সঙ্গে এক বান্ধবীও ছিল৷ মেলায় বান্ধবীকে মারধর করে তাঁর মেয়েকে অপহরণ করে পালায় সোহেল খান ও তার এক বন্ধু৷ মেয়ের বান্ধবী বাড়ি ফিরে তাঁদের সব কথা জানায়৷ তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে মেয়েকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন৷ খবর দেন মালদা ইংরেজবাজার মহিলা থানা ও মালদা থানায়৷ মহিলা থানার পুলিশ রাতেই সোহেলের বাড়িতে হানা দেয়৷ কিন্তু তাকে সেখানে পাওয়া যায়নি৷ অবশেষে আজ ভোর ৪টেয় তাঁদের কাছে একটি ফোন আসে৷ ফোনে বলা হয়, তাঁদের মেয়ে বিএস রোড এলাকায় রয়েছে৷ তাঁরা যেন মেয়েকে সেখান থেকে নিয়ে যান৷ তা না হলে তাঁদের মেয়েকে মালদা ইংরেজবাজার থানার হাতে তুলে দেওয়া হবে৷ সেকথা শুনেই তাঁরা সেখান থেকে মেয়েকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন৷ তবে কী কারণে তাঁর মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছিল তা তাঁরা বুঝতে পারছেন না৷ মেয়ে তাঁদের জানিয়েছে, তাকে সারা রাত একটি অন্ধকার ঘরে বন্দি করে রাখা হয়েছিল৷ আজ ভোরে সোহেলরা তাকে ছেড়ে দেয়৷ তাঁরা গোটা ঘটনা জানিয়ে সোহেল ও তার বন্ধুর বিরুদ্ধে মালদা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন৷ অপহৃত নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে প্রশাসনের কাছে সোহেল খান ও তার বন্ধুর কঠোর তম শাস্তি দাবি করছেন৷এদিকে মালদা থানার পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে৷ ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে৷ তবে কাউকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা যায়নি৷