হক জাফর ইমাম, মালদা: রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বে নির্দেশেও মালদা ইংরেজবাজার পৌরসভায় অনাস্থার বিতর্ক কাটলো না। গত মঙ্গলবার মালদা জেলা সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূর এর সঙ্গে বৈঠকের পর অনাস্থা প্রস্তাব তুলে নেওয়ার পক্ষেই বলেন বাবলা সরকার। বৃহস্পতিবার রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী সব জানান অনাস্থা তুলে নেওয়ার কোন প্রশ্নই উঠছে না। অনাস্থা প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে আইনগত প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। পৌরপ্রধান নিহার রঞ্জন ঘোষের বিরুদ্ধে অনাস্থা আসার ক্ষেত্রে তিনটি স্তর আছে। পৌর প্রধান, উপ পৌরপ্রধান এবং যেকোনো তিন জন কাউন্সিলর অনাস্থা ডাকতে পারে। আমরা উপ পৌরপ্রধানের অপেক্ষায় রয়েছি। তিনি অনাস্থার সভার না ডাকলে তিনজন কাউন্সিলার ডাকবে। এই প্রক্রিয়ার জন্য অনাস্থায় দরখাস্তকারী ১০ জন কাউন্সিলর থাকলেই চলবে। এক্ষেত্রে ১৫ জন কাউন্সিলর বর্তমান পৌর প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে এসেছেন। আমরা এই পৌর প্রধান কে তারপর থেকে সরাতে অনর। কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর আত্মবিশ্বাসের সুরে বলেন অনাস্থায় এই দুর্নীতিগ্রস্ত পৌর প্রধানকে যদি না সরাতে পারি তাহলে পৌরসভায় পা রাখবেন না।তিনি একটি উপমা দিয়ে বলেন বাংলায় একটি প্রবাদ প্রচলিত আছে যে ছাকনির সুচের ছিদ্র খুঁজে কিন্তু ছাঁকনির নিজে নিজে অনেক ছিদ্র তা দেখেনা। মালদা ইংরেজবাজার পৌরসভা কেউ ঠিক একই অবস্থা চলছে পৌরপ্রধানের নাম না করে তিনি বলেন উনি মুখ্যমন্ত্রী বা পৌর মন্ত্রীর কথা শোনেন না।পৌরসভাকে উনি নিজের পৈত্রিক সম্পত্তি বলে মনে করেন। পৌর আইনের জলাঞ্জলি দিয়ে দুর্নীতির শিখরে পৌঁছেছেন তিনি। আজ চিদম্বরমের মত মানুষ কেউ তিহার জেলে যেতে হয়েছে। ইংরেজবাজার পৌরসভার পৌর প্রধান কেউ যেতে হবে বহরমপুরের সেন্ট্রাল জেলে। বর্তমান পৌর প্রধান সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন যেসব কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে ভিজিলান্স করবেন। উনার সৎসাহস থাকলে আমার বিরুদ্ধে ভিজিলান্স করিয়ে দেখান। ভিজিলান্স হলে উনাকে পৌরসভা থেকে চিরকালের মতো চলে যেতে হবে। এই দিনের কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বক্তব্য প্রসঙ্গে মালদা ইংরেজবাজার পৌরসভার পৌর প্রধান নিহার রঞ্জন ঘোষ জানান অনাস্থা প্রত্যাহার নিয়ে আমার কোন মন্তব্য নেই। এটা জেলা ও রাজ্য নেতৃত্তের ব্যাপার। আমি যে পুকুরটা জেনেছি শুক্রবার এর মধ্যে অনাস্থা উঠে যাবে। আর আমার বিরুদ্ধে কে কী বলল তা নিয়ে আমার কিছু যায় আসে না। এটা তার নিজস্ব বিষয়। এ নিয়ে দলের বাইরে কিছুই বলা যাবে না।