অসমের পাশাপাশি উত্তর-পূর্ব ভারতের মেঘালয়েও আজ নিয়ে টানা তিন দিন বন্ধ মোবাইল ইন্টারনেট ও এসএমএস পরিষো। নাগরিকত্ব (সংশোধন) বিলের প্রতিবাদে এই রাজ্যেও চলছে বিক্ষোভ। যদিও বিক্ষোভের মধ্যেই বৃহস্পতিবার এই বিলে সই করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। শিলং থেকে পাওয়া ভিডিওয় দেখা গেছে, অন্তত দুটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে, কেনাকাটার মূল জায়গা পুলিশ বাজারের দোকানপাটও বন্ধ। আরেকটি ছবিতে দেখা গেছে, শহরের প্রধান সড়কে মশাল নিয়ে মিছিল করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সাময়িক স্থগিত বিখ্যাত সামদ্রুপ জোংখার সীমান্ত ফটক। ভুটানের সামদ্রুপজোংখা জেলার একেবারে লাগোয়া উত্তর পূর্বাঞ্চল ভারতের অসমের কোকরঝাড়, চিরাং, বাকসা ও উদালগুড়ি জেলা। আর অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং এবং পশ্চিম কেমাং জেলা। নেহরু জমানায় নয়াদিল্লি ও থিম্পুর মধ্যে বন্ধুত্বের চুক্তি (১৯৪৯)-এর কারণে ভারতীয় ও ভুটানিদের যাতাযাতে তেমন কড়াকড়ি ছিলনা। তবে সম্প্রতি সেই নিয়মে কড়াকড়ি করা হয়েছে। তবে রোজই বহু সংখ্যক ভুটানি শুধু অসম বা অরুণাচল প্রদেশ নয়, উত্তর পূর্বের অন্যান্য রাজ্যগুলিতেও যাতায়াত করেন। কিন্তু গত ৭২ ঘণ্টা ধরে অসম রক্তাক্ত। এই অবস্থায় থিম্পু থেকে ভুটানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বার্তা- সাময়িক বন্ধ করা হল সামদ্রুপ জোংখারের ভুটান গেট। কোনও অবস্থাতেই কোনও ভুটানি নাগরিক ভারতের দিকে যাবেন না। যারা ইতিমধ্যেই ভারতের দিকে গিয়েছেন যে কোনও পরিস্থিতিতে তাদের যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে অসমে থাকা ভুটানি দূতাবাসের সঙ্গে। সম্ভব হলে দ্রুত দেশে ফিরতে হবে।