অ্যাম্বুলেন্সে রোগীর বদলে বিলেতি মদ বোঝাই করে পাচার করা হচ্ছিল। আর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, সেই মদ বোঝায় অ্যাম্বুলেন্স আটক করে হাতেনাতে তিনজনকে গ্রেপ্তার করলো হবিবপুর থানার পুলিশ। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে, হবিপুর থানার আইহো এলাকার মালদহ নালাগোলা রাজ্য সড়কে। ওই এলাকার নাকা চেকিং পোস্টেই এই অ্যাম্বুলেন্সটিকে দাঁড় করিয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ। আর অ্যাম্বুলেন্সের পিছনের গেট খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় অভিযানকারী পুলিশকর্তাদের। সারি সারি বিলেতি মদের প্যাকেট দেখে হতবাক পুলিশ কর্তারা। কিভাবে, কোথা থেকে বিপুল পরিমাণ এই মদগুলি মজুদ করে পাচার করা হচ্ছিল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে হবিপুর থানার পুলিশ। যদিও এই ঘটনায় জেলা আবগাড়ি দফতরের একাংশ অফিসারের মদত রয়েছে বলেও অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। পুরো বিষয়টি জানতে পেরে জেলা আবগাড়ি দফতরের পদস্থ কর্তারা তদন্তে গিয়েছেন হবিপুর থানায়। পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে মালদহ আবগাড়ি দফতর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম বাবলা সাহা, অভিজিত হালদার এবং বিশ্বজিত্ মুখোপাধ্যায়। ধৃতদের প্রত্যেকেরই বাড়ি ইংরেজবাজার শহরের গয়েশপুর এলাকায়। অভিযুক্তেরা হবিবপুরের কোনও একটি মদের দোকান থেকে বিপুল পরিমাণ বিলেতি মদ অ্যাম্বুলেন্স করে পাচার করছিল। আইহো এলাকার রাজ্য সড়কে নাকা চেকিংয়ের সময় পুলিশের ওই অ্যাম্বুলেন্সটি দেখে সন্দেহ হয়। এরপর ওই অ্যাম্বুলেন্সটি তল্লাশি চালাতে গিয়ে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণে বিলেতি মদ। পুলিশ জানিয়েছে, বিভিন্ন নামিদামি কোম্পানির বিলেতি মদ মজুত করে পাচার করা হচ্ছিল। ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা মূল্যের মদ মজুদ ছিল। এগুলি লকডাউনের মধ্যেই কালোবাজারি করা হতো।