কলকাতাঃ ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার উত্তাল হল বিধানসভা। ডেঙ্গি রুখতে রাজ্য সরকার ব্যর্থ। সরকার সত্যি গোপন করছে। এদিন বিধানসভায় তোপ দাগেন অশোক ভট্টাচার্য। বিরোধীদের আক্রমণের প্রেক্ষিতে এরপরই একযোগে পাল্টা আক্রমণে নামেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী তোপ দাগেন, ডেঙ্গি নিয়ে কুৎসা রটাচ্ছেন, অপপ্রচার চালাচ্ছেন বিরোধীরা। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “একজনের মৃত্যুও দুঃখজনক। কখনও কখনও কোনও কোনও রোগ এসে যায়। বাংলাদেশের বন্ধুত্ব নেবেন, রোগও নিতে হবে।” প্রসঙ্গত, এর আগে ডেঙ্গি প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ডেঙ্গির মশা আসছে বাংলাদেশ থেকে। এদিনও ডেঙ্গি নিয়ে বলতে উঠে সেই প্রসঙ্গ টেনে আনেন মুখ্যমন্ত্রী। বাং-কংগ্রেসকে বিঁধে আরও বলেন, “কোথা থেকে লার্ভা আসছে, কেউ জানি না। আমরা কি জানি, কোথা থেকে আমদানি হচ্ছে। মশাগুলো যদি আমরা আমদানি করতে পারতাম, তাহলে ফার্স্ট বলতাম আপনাদের কামড়াতে।” এদিন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী জানান, এবছর রাজ্যে ৪৪ হাজার মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলেও এখনও পর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত বছর এই মৃতের সংখ্যাটা ৮৬ ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ডেঙ্গু দমন করতে রাজ্য সরকার সবরকমভাবে চেষ্টা করছে। এদিন বিধানসভায় ডেঙ্গি প্রসঙ্গে বলতে উঠে অশোক ভট্টাচার্য বলেন, “আপনারা একের পর এক সচিব বদলাচ্ছেন। এসব করলে হবে? গবেষণা কোথায়?” কটাক্ষ করেন, “গোপন কথাটি রবে না গোপনে। সংখ্যা বেড়েছে এই খবর বেরিয়ে গিয়েছিল। এর ব্যর্থতার দায় স্বাস্থ্য দফতরের।” অশোক ভট্টাচার্যের এই মন্তব্যের পরই জবাব দিতে ওঠেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য । বলেন, “একটা মৃত্যুও দুঃখজনক। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলী ডেঙ্গি প্রবণ। ৪৪ হাজার ৮৫২ জন এই মুহূর্তে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে প্রিভেন্টিভ কিউরেটিভ নিয়ে কাজ করছি। গ্রামীণ এলাকায় ৬৭ হাজার লিটার লার্ভানাশক দেওয়া হয়েছে। শহরাঞ্চলে প্রায় ৮ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার গাপ্পি মাছ ছাড়া হয়েছে। আমরা বিশেষ পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছি। ডেঙ্গির চরিত্র বদলেছে।