আমেরিকার পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা দাবি করলেন, প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই পরীক্ষামূলক ভাবে তা ইঁদুরের দেহে প্রয়োগ করে সাফল্য মিলেছে। দু’সপ্তাহের মধ্যে ওই প্রোটিন ইঁদুরের দেহে পর্যাপ্ত পরিমাণ অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পেরেছে। পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব মেডিসিনের গবেষকদের দাবি, ত্বকের ওপর আঙুলের ডগার মাপে বা একটা ছোট্ট ব্যান্ডেডের মাপের প্যাচে এই প্রতিষেধক প্রয়োগ করা হয়। তাঁরা জানান, এর আগে দীর্ঘদিন SARS ও MERS নিয়ে গবেষণা করায় তাঁরা তাড়াতাড়িই করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার করে ফেলেতে পেরেছেন। পিটসবার্গ স্কুল অব মেডিসিনের অধ্যাপক আন্দ্রিয়া গ্যামবোটো বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘ চরিত্রগত দিক থেকে কোভিড-১৯ ভাইরাসের সঙ্গে সার্স এবং মার্স ভাইরাসের অনেক মিল রয়েছে। ওই দুটো ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে আমরা জানতে পেরেছি স্পাইক নামে একটি প্রোটিনের কথা যা ভাইরাসের বিরুদ্ধে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।’ একটি জার্নালে এই গবেষণার রিপোর্ট প্রকাশ পায়। সেখানে বলা হয়েছে, সাধারণ ফ্লুয়ের প্রতিষেধক তৈরি করতে যে পদ্ধতিতে এগনো হয়, কোভিড-১৯-এর ক্ষেত্রেও সেই পথে এগনো হয়েছে। সাধারণ ফ্লুয়ের প্রতিষেধক তৈরির ক্ষেত্রে গবেষণাগারে তৈরি প্রোটিনের ব্যাবহার করা হয়। গবেষকদের দাবি, তাঁরা ইঁদুরের দেহে ওই প্রোটিন প্রয়োগ করে দেখেছেন দু’সপ্তাহের মধ্যে ইঁদুরের দেহে পর্যাপ্ত পরিমাণ অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। আর কিছু দিনের মধ্যেই পরীক্ষামূলকভাবে মানব দেহে এই প্রতিষেধক প্রয়োগ করে দেখা হবে। ইতিমধ্যেই ইউনাইটেড স্টেট ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কাছে অনুমোদন চেয়ে গবেষকরা আবেদন করেছেন।