বিদেশ

‘উষ্ণায়ন রোধে কাজে হচ্ছে না’, রাষ্ট্রসংঘে প্রথম বিশ্বের দেশগুলিকে বিঁধলেন মোদি

আমেরিকাঃ হাউডি মোদির উদ্দীপনার ঘোর কাটিয়ে বিশ্বমঞ্চে এবার অন্য মোদিকে দেখল মার্কিন মুলুক। সাক্ষী থাকল সংবাদমাধ্যম এবং প্রবাসী ভারতীয়রা। সোমবার রাষ্ট্রসংঘে জলবায়ু বদল ও বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও মনোজ্ঞ বক্তৃতা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রশংসা করেছেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ এবং অন্য রাষ্ট্রপ্রধানরা। জলবায়ু বদল, প্রাকৃতিক বিপর্যয় রোধে বাস্তব ছবিটা তুলে ধরে উন্নত দেশগুলির সঙ্গে সঙ্গে তৃতীয় বিশ্বের প্রতিনিধিদের বিবেককে নাড়া দিলেন তিনি। মোদি বলেন, “একটা কথা খুব সত্যি, নানা ছুতোয় আমরা কোনও দেশই কি প্রাকৃতিক বিপর্যয় রোধে হাতে হাত মিলিয়ে নিজেদের ধ্যে সহযোগিতা করে সিরিয়াসলি কাজ করছি? না, করছি না? প্রশ্ন তুললেন মোদি। শুধু তাই নয়, জলবায়ু বদল ও বিশ্ব উষ্ণায়ন রোধেও আমরা যথেষ্ট কাজ করছি না। আমরা এই সমস্যার গভীরতাকে পাশ কাটিয়ে চলেছি। সমস্যা সমাধানে আমরা দায়বদ্ধতা দেখাচ্ছি না। আর এর মাশুল দিতে হচ্ছে আমাদেরই। কার্বন দূষণ প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রসঙ্গে অন্য দেশের বিরুদ্ধে আঙুল তোলার আগে আমাদের সবাইকেই মানতে হবে আমরা কেউই নিজেদের কাজটা করছি না।”দৃশ্যত ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী এর পাশাপাশি আরও বলেন, ‘‘ভারত কিন্তু প্যারিস আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলনে গৃহীত প্রস্তাবগুলি কঠোরভাবে কার্যকর করে চলেছে। রাষ্ট্রসংঘও সেটা জানে। তাই ওই সম্মেলনে স্বাক্ষরিত চুক্তি মেনে অপ্রচলিত শক্তি থেকে ভারত ১৭৫ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চলেছে। সেই কাজ পুরোদমে এগোচ্ছে। ২০২২ সালের মধ্যে ভারত এর দ্বিগুণ অর্থাৎ ৪০০ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ তৈরি করবে অপ্রচলিত শক্তি থেকে। এই কাজ করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পরিবেশ দূষণ রোধে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য পেট্রোল, ডিজেল, কয়লার মতো জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার যতটা সম্ভব কমানো হবে ধাপে ধাপে।’’ তিনি বলেন, ‘‘বিশ্বের প্রতিটি দেশের মানুষকে তাঁদের জীবনচর্যা বা লাইফ-স্টাইল, মানসিকতা বদলাতে হবে। তবেই পরিবেশ দূষণ, কার্বন দূষণ, বিশ্ব উষ্ণায়ন রোধের মোকাবিলা করা সম্ভব।’’ মোদি রাষ্ট্রপ্রধানদের ডাক দেন, “আসুন প্রকৃতি বিপর্যয় রোধে আমরা সবাই বিপর্যয় প্রতিরোধী পরিকাঠামো গড়ে তুলি। বিপর্যয় প্রতিরোধে উন্নত দেশগুলি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করুক। এর জন্য একটা ইতিবাচক উদ্যোগ শুরু হোক।’’