জেলা

উৎসবের শুরুতেই চা শ্রমিকদের বনধে বিচ্ছিন্ন দার্জিলিং

দার্জিলিং: দেশের চা শিল্প ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা। এই প্রথমবার শারদোৎসবের প্রাক মুহূর্তে বোনাসের দাবিতে বনধ ঘিরে স্তব্ধ পাহাড়ি এলাকা। দার্জিলিং জেলা এবং ডুয়ার্সের সবকটি বাগানের চা উৎপাদন বন্ধ। যৌথ শ্রমিক মঞ্চ গড়ে পালিত হচ্ছে ধর্মঘট। ফলে উৎসবের প্রথম দিনেই বিচ্ছিন্ন দার্জিলিং ও কালিম্পং। শ্রমিকদের পুজো বোনাসের দাবিতে চা বাগান শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকা এই বনধে শুক্রবার অচল পাহাড়।শিলিগুড়ি থেকে কোনও যাত্রী ও পণ্যবাহী গাড়ি উপরের দিকে ওঠেনি। এতে বিরাট পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছে দার্জিলিং পর্যটন শিল্প। চা বাগান শ্রমিকদের দাবি, ২০ শতাংশ হারে পুজো বোনাস চাই। এই দাবিতে গত কয়েকদিন ধরেই চলছিল আন্দোলন। বৃহস্পতিবার জানানো হয়, শুক্রবার ভোর ৪টে থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত অর্থাৎ ১২ ঘণ্টার বনধ পালিত হবে দুই পাহাড়ি জেলা দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে।এই বনধের ডাক দিয়েছে চা বাগানের সব শ্রমিক সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। এই বনধ সমর্থন করেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। চা শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন জয়েন্ট ফোরামের অন্যতম আহ্বায়ক জিয়াউল আলম জানিয়েছেন, দার্জিলিংয়ের চা পৃথিবীর বিখ্যাত। অথচ চা শ্রমিকরা বোনাস পেলেন না মালিকদের জিদ এবং রাজ্য সরকারের অবহেলার কারণে। দার্জিলিংয়ের চা বাগানের ইতিহাসে ঘটনা নজিরবিহীন। ধর্মঘট করেই এর জবাব দেওয়া হবে।ধর্মঘটিদের দাবি, শনিবারের মধ্য়ে বোনাস সমস্যার সমাধান না হলে ৬ অক্টোবর থেকে আমরণ অনশন শুরু হবে। এই অনশন কর্মসূচি কে সমর্থন করেছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিনয় তামাং। সব মিলে দার্জিলিং ও পাহাড়ের অন্য়তম পর্যটনস্থল, কার্সিয়াং, মিরিক, সহ সর্বত্র পুজো হলিডে ট্যুর প্য়াকেজ মার খেতে চলেছে।