জেলা

এনআরসিকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করব’, হুংকার অভিষেকের

ডায়মন্ড হারবার: এনআরসি আতঙ্কে আত্মঘাতী কালাচাঁদ মিদ্যার পরিজনদের সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃতের পরিবারকে মোট পাঁচ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করেন তিনি। সাধারণ মানুষকে  অযথা এনআরসি আতঙ্কে ভুগে নিজেদের জীবন শেষ না করার পরামর্শ দেন অভিষেক।তৃণমূল সাংসদ এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতার মামুদপুরে আত্মঘাতী কালাচাঁদ মিদ্যার বাড়িতে যান। নিহতের মা, স্ত্রী ও চার মেয়ের সঙ্গে দেখা করেন। মৃতের পরিবারকে তিনি নিজস্ব তহবিল থেকে দু’লক্ষ টাকা ও জেলাজুড়ে সংগ্রহ করা আরও তিন লক্ষ মিলিয়ে মোট পাঁচ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেন। এছাড়াও আগামী একমাসের মধ্যে ওই পরিবারটিকে নতুন বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেন সাংসদ। তিনি জানান, মৃতের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়া এক মেয়ের আজীবন পড়াশোনার দায়িত্বও তিনি নেবেন।এরপর একটি সভাও করেন তৃণমূল সাংসদ। সেই সভায় তিনি এনআরসি ইস্যুতে বিজেপি ও সিপিএমকে তুলোধোনা করেন। তিনি বলেন, “বিজেপি আর সিপিএম একে অপরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বাংলায় এনআরসি নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্ক তৈরি করছে। কালাচাঁদ মিদ্যার মৃত্যু অত্যন্ত বেদনাদায়ক। ওঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে জানতে পারলাম টিভিতে দেখে এনআরসি নিয়ে আতঙ্কে ছিলেন। ১৯৭১ সালের আগের নথিপত্র খুঁজেও পাননি। তাই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। কিন্তু এভাবে নিজেদের জীবন শেষ করবেন না। বাংলায় এনআরসি করা অত সহজ কাজ নয়। কেন্দ্রীয় সরকার বলে দিল এনআরসি হবে আর পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি হয়ে গেল এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। এনআরসিকে ঝেঁটিয়ে বিদেয় করে গঙ্গার জলে ছুঁড়ে ফেলে দেবো।”কার্যত হুমকির সুরে তিনি আরও বলেন, “আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো অত উদার কিন্তু নই। ফলতায় এই মৃত্যুই যেন প্রথম ও শেষ মৃত্যু হয়। আমার লোকসভা কেন্দ্রে এমন আর একটা ঘটনা যদি ঘটে তাহলে এই জেলায় বিজেপি আর সিপিএমের রাজনীতি করা চিরতরে বন্ধ করে দেবো। অসমে এআরসি-তে মুসলমান তাড়াতে গিয়ে ১২ লক্ষ হিন্দু ভোটারের নামও বাদ পড়ল। পদ্মে ভোট দিয়ে এখন তাঁদের পদ্মানদীর ওপারে চলে যেতে হচ্ছে। কিন্তু আমি আশ্বস্ত করছি এ বাংলায় তা হবে না।