ফের প্রতিবাদে সরব দেশের চিকিত্সকরা। আগামিকাল দেশজুড়ে যত সরকারি হাসপাতাল রয়েছে, সেখানে ওপিডি পরিষেবা মুখ থুবড়ে পড়তে চলেছে। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন বিল ২০১৯ এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার চিকিত্সকরা। সোমবারই লোকসভায় পাশ হয়েছে এই বিল। বিলে বলা হয়েছে সাড়ে ৩ লক্ষ জনস্বাস্থ্য কর্মীকে আধুনিক ওষুধ প্রেসক্রাইব করার লাইসেন্স দিতে চলেছে সরকার। এই লাইসেন্স হাতে থাকলে তিনি নিশ্চিন্তে প্র্যাকটিস করতে পারবেন। রোগী দেখতে পারবেন। ওষুধ প্রেসক্রাইব করতে পারবেন রোগীদের। গত সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন বলেন, এতে গ্রামের মানুষের সুবিধা হবে। অনেক গ্রামেই চিকিত্সক মেলা ভার হয়। চিকিত্সক নেই সেসব গ্রামে। সেখানে পরিষেবা পৌঁছে যাবে। বহু মানুষ চিকিত্সা পাবেন। এই বিলের বিরুদ্ধেই সোচ্চার হয়েছে চিকিত্সক মহল। তাদের দাবি এতে হাতুড়ে চিকিত্সক দেশে ছড়িয়ে পড়বে। ফার্মাসিস্ট, নার্স, ফিজিওথেরাপিস্ট বা অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা সরাসরি চিকিত্সার লাইসেন্স পেয়ে যাবেন। যা দেশে চিকিত্সার মানকে অনেকটাই নামিয়ে দেবে। চিকিত্সার গুণগত মান পড়ে যাবে। এই বিলকে হাতুড়ে চিকিত্সার আইনি ছাড়পত্র বলে ব্যাখ্যা করেছেন চিকিত্সকেরা। বিলের প্রতিবাদ করে বুধবার দেশ জুড়ে সরকারি হাসপাতালগুলিতে ওপিডি পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।তবে জরুরি নয় এমন পরিষেবা বন্ধ রাখা ধর্মঘটের অংশ হলেও খোলা থাকবে জরুরি পরিষেবা, আইসিইউ সহ বিভিন্ন জরুরি পরিষেবা বিভাগ চলবে। স্বাভাবিক ভাবেই চিকিত্সা পাবেন রোগীরা।