দেশ

ঘন কুয়াশা ও হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় বিপর্যস্ত দিল্লি, ব্যাহত বিমান-ট্রেন চলাচল

দেরিতে চলছে ৩০টি ট্রেন, ব্যাহত বিমান পরিষেবাও

হাড়কাঁপানো ঠান্ডা পড়েছে দিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকায়। ঘন কুয়াশার চাদরে মুড়ে গিয়ে রাজধানী শহর। পরিস্থিতি এতটাই ভয়ানক যে দেরিতে চলছে ট্রেন এবং বিমান। রেলের তরফে খবর, ইতিমধ্যেই প্রায় ৩০টি ট্রেন নির্ধারিত সময়ের তুলনায় দেরিতে চলছে। উড়ান বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি দেরিতে উড়েছে বেশ কিছু বিমান। কুয়াশার পরিমাণ বৃদ্ধির সঙ্গে ক্রমশ খারাপ হচ্ছে দিল্লির বাতাসের গুণমান। সোমবার সকালে আনন্দ বিহার এলাকায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ছিল ৪৬২ এবং ওখলা ফেজ-২ এলাকায় ৪৯৪। অতএব দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ফের পৌঁছে গিয়েছে ‘সিভিয়ার’ ক্যাটেগরিতে। পাশাপাশি ঘন কুয়াশার ফলে সোমবার সকাল থেকেই যাতায়াতে চরম অসুবিধের মধ্যে পড়েছেন দিল্লিবাসী। সাতসকালেই গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়ে রাস্তায় চলাচল করছেন সাধারণ মানুষ। বেশ কিছু এলাকায় ইতিমধ্যেই তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। দিল্লি এবং নয়ডাতেই কুয়াশার পরিমাণ সবচেয়ে বেশি বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে আগামী ৪৮ ঘণ্টা এই তীব্র ঠান্ডার পরিবেশই থাকবে সমগ্র উত্তর ভারতে। এদিকে সোমবার সকাল থেকেই ঘন কুয়াশার জেরে কমেছে দৃশ্যমানতা। চারহাত দূরের জিনিস দেখতে গেলেও সমস্যা হচ্ছে আমজনতার। পারদ পতনের পাশাপাশি দিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকায় বইছে কনকনে শীতল উত্তুরে হাওয়া। একই অবস্থা উত্তর ভারতের বাকি রাজ্যেও। উত্তুরে হাওয়ার দাপটে কাঁপছে উত্তর ভারতের প্রায় সব জেলা। ইতিমধ্যেই দিল্লি-সহ একাধিক রাজ্যে শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। আগামী দু’দিন পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে বলেই আশঙ্কা আবহবিদদের। বছরের শুরুতেই শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছে আইএমডি। তবে কেবল দিল্লি নয়, হরিয়ানা, রাজস্থান, জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ, দ্রাস সর্বত্রই অবস্থা একই।