ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে স্থায়ী, উন্মুক্ত ও নিরাপদ বাণিজ্যের বিষয়ে ভারতকে অগ্রাধিকার দিল ট্রাম্প প্রশাসন ৷ সোমবার ক্যাপিটল হিলসের রোটুন্ডায় আমেরিকার 47তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ৷ শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের 24 ঘণ্টা পরই বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের কোয়াড বৈঠকের আয়োজন করা হয় ৷ ভারত ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রী পেনি ওয়াং, জাপানের ইওয়া তাকেসি ও আমেরিকার নয়া বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও ৷ বৈঠকের পর এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন এস জয়শঙ্কর ৷ বিদেশমন্ত্রী লেখেন, “তাৎপর্যপূর্ণভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের শপথগ্রহণের কয়েকঘণ্টা পরই কোয়াডের বৈঠকের আয়োজন করা হয় ৷ এই পদক্ষেপে এটা স্পষ্ট, চতুর্দেশীয় অক্ষ কোয়াডের রাষ্ট্রের গুরুত্ব রয়েছ ৷ বৈঠকে, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবাধ, সুরক্ষিত ও নিশ্চিত বাণিজ্যের বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা করা হয়েছে ৷” বিশ্ব শান্তি বজায় রাখতে ও উন্নয়নের লক্ষ্য়ে প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্র একত্রে কাজ করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও পোস্টে জানান জয়শঙ্কর ৷ অন্যদিকে, বৈঠকের পর মার্কিন সংবাদ সংস্থা এনবিসি-কে রুবিও জানান, আমেরিকাবাসীর স্বার্থে প্রতিটি মিত্রদেশের সঙ্গে বৈঠক অত্যন্ত জরুরি ৷ উল্লেখ্য, কোয়াডের বৈঠকের পরই বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক সারেন আমেরিকার নয়া বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও ৷ এক ঘণ্টারও বেশি সময়ের বৈঠকে দু’দেশের নিরাপত্তা, বাণিজ্য প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে ৷ বৈঠকে আমেরিকায় ভারতের রাষ্ট্রদূত বিনয় খোয়াত্রাও উপস্থিত ছিলেন ৷ পাশাপাশি আমেরিকার নয়া নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজের সঙ্গেও বৈঠক করেন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী ৷ প্রসঙ্গত, বাণিজ্যিক স্বার্থে চিনের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করতে চাইছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৷ তবে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না, তা এদিনের বৈঠকে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে ৷ কূটনীতিকদের মতে, সেই কারণে কোয়াড তথা ভারতকে প্রথম দিনেই অধিক গুরুত্ব দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন ৷