জেলা পুজো

কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠে ভক্তের ঢল

কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। পুণ্যার্থীদের জন্য দু-রাত মন্দিরের দরজা খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। মা তারার অপর নাম কৌশিকী এই অমাবস্যাতেই দৈত্য, শুম্ভ-নিশুম্ভকে বধ করেছিলেন বলে কথিত আছে। দুষ্টের দমন এবং শিষ্টের পালনের জন্য এই অমাবস্যা তিথি পালিত হয়। পাশাপাশি, এই তিথিতেই সাধক বামাক্ষ্যাপাও তারাপীঠ মহাশ্মশানের শ্বেতশিমূল গাছের তলায় সাধনা করে সিদ্ধিলাভ করেছিলেন। সেই উপলক্ষ্যে তারাপীঠে তান্ত্রিকদের পাশাপাশি ব্যাপক ভক্ত সমাগমও হয়েছে। কোনও বিপর্যয় যাতে না হয়ে সেজন্য মন্দিরচত্বরে কঠোর করা হয়েছে নিরাপত্তা। তারাপীঠ মন্দির সূত্রে খবর,  বাড়ানো হয়েছে মন্দিরে বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা। সর্বত্র সিসিটিভি লাগানো হয়েছে। ভিড়ের ওপর নজরদারির জন্য ৭টি ওয়াচ টাওয়ার, ড্রপ গেট ও তিনটি জায়েন্ট স্ক্রিন থাকছে। দ্বারকা নদীর কয়েকটি ঘাটে সাময়িকভাবে বাঁশ দিয়ে রাস্তা বন্ধ করা হয়েছে। স্নান করতে নেমে পূণ্যার্থীরা যাতে তলিয়ে না যান তাই নদীতে জলের পরিমাণ কমানো হয়েছে। ইতিমধ্যে চারজন ডুবুরি ডিউটিতে রয়েছেন। এছাড়া সাদা পোশাকের পুলিশ দিয়েও নজরদারি চালানোর পাশাপাশি ব্যাপক পরিমাণে মহিলা পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে। অন্যদিকে আজই বোমাতঙ্ক গুজব ছড়ায় তারাপীঠে। একটি কালো ব্যাগ ঘিরে বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছে। থানা লাগোয়া তারাপীঠ স্টেট ব্যাঙ্কের কালো রংয়ের ওই ব্যাগটি পড়ে থাকতে দেখেন পুণ্যার্থীরা। সূত্রে খবর, দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকার পরেও ব্যাগটির দাবিদার পাওয়া যায়নি। এই অবস্থায় ব্যাগটিকে দেখে ব্যাপক বোমার আতঙ্ক ছড়ায় কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষ্যে সমবেত হওয়া পুণ্যার্থীদের মধ্যে। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছে  গোটা চত্বরটিকে বালির বস্তা দিয়ে ঘিরে দেয়। তবে, শেষপর্যন্ত ব্যাগটির মধ্যে বোমা পাওয়া যায়নি।