মালদা

গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে

হক জাফর ইমাম, মালদা: গৃহবধূকে শ্বাস রোধ করে মারার পর ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠলো শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে মালদা রতুয়া থানার কাহালা হরিপুর এলাকায়। ঘটনায় ৬ জনের নামে মালদা রতুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে গৃহবধূর পরিবার। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ গৃহবধূর শাশুড়ি ও স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে। যদিও বাকিরা পলাতক।মৃত গৃহবধূর নাম পুতুল মণ্ডল। তার বাড়ি রতুয়া থানার মাখাইয়া দেবীপুর এলাকায়। গত ৭ মাস আগে রতুয়া কাহালা হরিপুর এলাকার বাসিন্দা সিন্টু মন্ডলের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই গৃহবধূর উপর অত্যাচার চালাত তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা বলে অভিযোগ।গৃহবধূর বাবা বিজয় মন্ডলের অভিযোগ, তার জামাই সিন্টু মণ্ডল পেশায় একজন টোটো চালক। বিয়ের সময় ঠিক হয়েছিল নগদ টাকা পয়সা সহ জামাইকে একটি মোটরসাইকেল কিনে দেওয়ার। কিন্তু সে সময় মোটরসাইকেলের সম্পূর্ণ টাকা সে জামাইকে দিতে পারেনি। ২৫ হাজার টাকা দিতে বাকি ছিল। যার দরুন জামাই সিন্টু মন্ডল ও তার পরিবারের লোকেরা তার মেয়ে পুতুল মন্ডলের উপর অত্যাচার চালাত -টাকা নিয়ে আনার জন্য চাপ দিত । শুক্রবার সন্ধ্যায় মৃত গৃহবধূর বাবা বিজয় মন্ডল জানতে পারে তার মেয়ে পুতুল মণ্ডল গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। খবর পাওয়া মাত্র বিজয় মন্ডল মালদা রতুয়া থানায় এসে মেয়ের মৃতদেহ দেখতে পায়। তার অভিযোগ তার মেয়েকে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা শ্বাসরোধ করে মেরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দিয়েছে। এই ঘটনায় মৃত গৃহবধূর বাবা রতুয়া থানায় জামাই সিন্টু মন্ডল, শাশুড়ি আলতী মন্ডল, শশুর রমেশ মন্ডল সহ তিন জনের নামে অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ সিন্টু মন্ডল ও আলতি মন্ডলকে মালদা রতুয়া থানার পুলিশ গ্রেফতার করে। আর বাকিরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। মৃত গৃহবধূর বাবার অভিযোগ মোটরসাইকেল কেনার ২৫ হাজার টাকা না দেওয়ার কারণে তার মেয়েকে মেরে ফেলা হয়েছে। এদিকে রতুয়া থানার পুলিশ শুক্রবার রাতেই গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।