ঘূর্ণিঝড় বুলবুল তাণ্ডবে বিপর্যস্ত বকখালি সহ সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা। নির্ধারিত উত্তরবঙ্গ সফর বাতিল করে আজ আকাশপথে বকখালি ও নামখানা পরিদর্শনে করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিস্তীর্ণ এলাকার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখেন তিনি। সাইক্লোনে আক্রান্ত মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া ও তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা পর্যালোচনার জন্য কাকদ্বীপে আয়োজিত প্রশাসনিক বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে তিনি ঘোষণা করেছেন, প্রত্যেক জেলার জন্যই টাস্ক ফোর্স তৈরি করা হবে। জেলা প্রশাসন গুলিকে তিনি এরপর নির্দেশ দেন, যেহেতু ঝড়ের পর এখন বিপর্যস্ত অবস্থা সেই কারণে
টাস্ক ফোর্স প্রতি ৪৮ ঘণ্টা অন্তর নজরদারি চালাবে বিপর্যস্ত অঞ্চলগুলিতে। মৎস্য, সেচ, পরিবহন, স্বাস্থ্য সহ জেলা প্রশাসনের একাধিক দপ্তর একযোগে কাজ করবে টাস্ক ফোর্সের আওতায়। দুর্গতদের কাছে যাতে বেবি ফুড, শুকনো খাবার, ওষুধপত্র, পোশাকের মতো প্রয়োজনীয় জিনিস সমপরিমাণে বিতরণ হয়, সেদিকে নজর রাখবে টাস্ক ফোর্স। নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়া কোনওরকম খাবার, ওষুধ বা বেবি ফুড যেন না বিলি না হয় সেদিকও কড়া লক্ষ্য রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। ঘূর্ণিঝড়ের ধাক্কায় কাকদ্বীপে সেচের ভেঙে যাওয়া বাঁধ পুনর্নির্মাণের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে তিনি এদিন ঘোষণা করেন ফসলের বিমা ১০০ শতাংশ করতে হবে। এদিন কাকদ্বীপ ছাড়ার আগে
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন বহু মানুষ। কাকদ্বীপে প্রশাসনিক বৈঠকের পর নামখানায় ট্রলারডুবিতে মৃত মৎস্যজীবী সঞ্জয় দাসের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের মধ্যে ছিলেন মৃত সঞ্জয় দাসের পরিবার। নিহত মত্স্যজীবীর স্ত্রী ও দুই সন্তানকে দেখে এগিয়ে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। দুই সন্তানকে কোলে তুলে নেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী নিজে হাতে ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেন সঞ্জয় দাসের স্ত্রীর হাতে। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন যে এই বিপদের দিনে সঞ্জয় দাসের পরিবারকে সবরকম সাহায়্য করবে রাজ্য সরকার। দেখুন ভিডিও –