হক জাফর ইমাম, মালদা: চাষ করার জন্য জমি খুঁড়তেই বেরিয়ে এল শতাব্দী প্রাচীন পাথরের মূর্তি। এরপর সেই মুর্তি নিয়ে শুরু হয় পূজার্চনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মালদা হবিপুর থানার পুলিশ। পাথরের মূর্তি গুলি উদ্ধার করতে বাধা দেয় গ্রামবাসীরা। শুক্রবার সকালে মালদা হবিবপুর ব্লকের শ্রীরামপুর অঞ্চলে রঞ্জিতপুর এলাকায় জমি চাষ করতে গিয়ে মাটির তলা থেকে বেরিয়ে আসে প্রাচীন পাথরের মূর্তি। জানা গিয়েছে, এলাকার বাসিন্দা রবি মার্ডি তার জমিতে চাষ করছিলেন। কোদাল দিয়ে মাটি কোপানোর সময় মাটির তলা থেকে বেরিয়ে আসে শতাব্দী প্রাচীন পাথরের মূর্তি। এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, সেই মূর্তির দৈর্ঘ্য ২ ফুট এবং প্রস্থ ৪ ফুট। ৪টি দেবদেবীর মূর্তি রয়েছে সেখানে। তবে কোন দেবতার মূর্তি তা পরিষ্কারভাবে বলতে পারিনি গ্রামবাসীরা। পাথরের মূর্তিটি একাংশ সামান্য ভাঙ্গা রয়েছে। বাকি অক্ষত অবস্থায় রয়েছে।শুক্রবার সকাল থেকেই এলাকার বাসিন্দারা মূর্তিটি দেখতে ভিড় জমান। শুরু হয় পূজার্চনা। মূর্তিটি কালো রঙের। এলাকার লোকেরা দাবি করেন মূর্তিটি কষ্টি পাথরের। যদিও এই বিষয়ে পুরাতত্ত্ব বিভাগ মূর্তি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। এদিন মালদা হবিপুর থানার পুলিশ মূর্তিটি উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কিন্তু গ্রামবাসিরা মূর্তি উদ্ধার করতে বাধা দেন। তারা বলেন সেখানে তারা মন্দির তৈরি করে ওই মূর্তিকে পূজা করবেন। তবে মূর্তিটি কত বছর পুরনো কিভাবে মূর্তিটি ওই এলাকায় এলো তা তদন্ত করবে পুরাতত্ত্ব বিভাগ।ইতিহাস প্রসিদ্ধ গৌড়বাংলা। মালদায় বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে ঐতিহাসিক সৌধ। মাঝেমধ্যেই মালদার বিভিন্ন প্রান্তে মাটি খুড়তে গিয়ে বেরিয়ে আসে প্রাচীন পাথরের মূর্তি। হবিবপুর এলাকায় রয়েছে জগজীবনপুর। কয়েক দশক আগে সেখানে মাটি খুঁড়ে ইতিহাসবিদরা আবিস্কার করেছিলেন বৌদ্ধবিহার।