মালদা

চৈতা গ্রামের ৫০ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত

মালদা : ডেঙ্গিতে আক্রান্ত একই গ্রামের ৫০ জন ৷ মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি ১৪ জন ৷ এলাকাজুড়ে ছড়িয়েছে আতঙ্ক ৷ পুরাতন মালদা ব্লকের যাত্রাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের চৈতা গ্রামের ঘটনা ৷ বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও ইরফান হাবিব৷যাত্রাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েত দপ্তর থেকে সামান্য দূরে চৈতা গ্রাম । বিগত একমাস ধরে এই গ্রামেই থাবা বসিয়েছে ডেঙ্গি ৷ ইতিমধ্যেই জ্বরে আক্রান্ত গ্রামের ৬৫ জন ৷ আক্রান্তরা সকলেই চিকিৎসার জন্য যান সরকারি হাসপাতালে ৷ বর্তমানে মালদা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন ১৪ জন ৷ অনেকেই চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে ফিরে এসেছেন বাড়ি ৷ দিন কয়েক আগেই মেডিকেল কলেজ থেকে চিকিৎসা করিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত গীতা সরকার ৷ তিনি বলেন, “গত বৃহস্পতিবার প্রথমে মাথা ব্যথা শুরু হয় ৷ পরে জ্বর আসে, সঙ্গে বমি ৷ বিকেল ৪টের সময় স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভরতি করা হয় ৷ শুক্রবার রক্ত পরীক্ষা হয় ৷ তার রিপোর্ট পাওয়ার পরেই আমাকে মালদা মেডিকেল কলেজে রেফার করে দেওয়া হয় ৷ সেখানেও আমার রক্তপরীক্ষা করা হয় ৷ চিকিৎসকরা জানান, ডেঙ্গি হয়েছে ৷ পাঁচদিন চিকিৎসার পর মঙ্গলবার বাড়ি ফিরি ৷” আরেক বাসিন্দা তুলিকা সরকার বলেন, “আমার জা আর শ্বশুরমশাই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত ৷ জা হিমানি সরকার মালদা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন ৷ গত বৃহস্পতিবার তাঁর জ্বর আসে ৷ রাত ৩ টে নাগাদ তাঁকে স্থানীয় পোপড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভরতি করা হয় ৷ পরে সেখান থেকে তাঁকে মালদা মেডিকেল কলেজে রেফার করা হয় ৷ এখনও সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন ৷” প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সন্তোষ সরকার বলেন, “প্রায় এক মাস ধরে গ্রামে ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব ঘটেছে ৷ এখনও পর্যন্ত প্রায় ৬৫ জনের জ্বর হয়েছে ৷ তাদের প্রায় সবারই রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু ধরা পড়েছে ৷ প্রত্যেকেই মালদা মেডিকেল চিকিৎসা করিয়েছেন । ডেঙ্গির খবর পেয়ে পঞ্চায়েত প্রধান ও বিডিও গ্রাম পরিদর্শন করে যান ৷ গ্রামের জঙ্গল, আবর্জনা ও বদ্ধজল পরিষ্কারের কথা বলেছিলেন ৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেসব কিছু করা হয়নি ৷ গ্রামবাসীরাই নিজেদের টাকায় ঘাস মারার বিষ কিনে জঙ্গল সাফ করার জন্য ব্যবহার করছেন ৷ কিন্তু তাতে কোনও কাজ হচ্ছে না ৷ আমরা বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েছি ৷”