দেশ

জেএনইউ কাণ্ডে রক্ত ঝরেছে ঐশীর!‌ তাঁর ওপরেই হামলার নেতৃত্বের দায় চাপাল দিল্লি পুলিশ

নয়াদিল্লিঃ জেএনইউ-র ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষের প্রতি সহানুভূতি যখন উপচে পড়ছে তখন শুক্রবার বিকেলে দিল্লি পুলিশ চাঞ্চল্যকর দাবি জানাল। এই হামলার ঘটনায় ঐশী ঘোষের দিকেই আঙুল তুলল দিল্লি পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাম সংগঠনের পড়ুয়ারাই। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে একথাই জানিয়ে দিল দিল্লি পুলিশ। শুক্রবার বেশ কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেছে দিল্লি পুলিশ। সেই ছবিগুলিতে যাঁদেরকে চিহ্নিত করেছে দিল্লি পুলিশ, তাঁরা নাকি বাম সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। এমনটাই জানাচ্ছে তারা। পাশাপাশি ন’‌জন অভিযুক্তের নামও প্রকাশ করেছে তারা। ওই ন’‌জনের মধ্যে সাতজনই বাম সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। পুলিশ জানিয়েছে, বাকি দু’‌জন এবিভিপির সমর্থক। বাম সংগঠনের যাঁদের নাম উল্লেখ করেছে দিল্লি পুলিশ, তাঁদের মধ্যে আছেন চুনচুন কুমার, পঙ্কজ মিশ্র, ঐশী ঘোষ, ওয়াসকর বিজয়, সুচেতা তালুকদার, প্রিয়া রঞ্জন, দোলন সাওয়ান্ত। যোগেন্দ্র ভরদ্বাজ এবং বিকাশ প্যাটেল নামে দু’‌জন এবিভিপির সমর্থকের নাম নিয়েছে দিল্লি পুলিশ। সাংবাদিক বৈঠকে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, রবিবারের সিসিটিভি ফুটেজ, ভিডিও রেকর্ডিং এবং প্রত্যক্ষদর্শীর অভাবে এই হামলার পেঠনে যাঁরা আছেন, তাঁদের চিহ্নিত করতে অসুবিধা হয়েছে। দিল্লি পুলিশের দাবি, ‘‌আমরা যে কয়েকজনকে শনাক্ত করেছি, সবটাই ভাইরাল ভিডিও দেখে। গত জানুয়ারির ১ তারিখ থেকে ৫ তারিখ পর্যন্ত অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। এসএফআই, আইসা, ডিএসও এবং এআইএসএফ অক্টোবর থেকেই রেজিস্ট্রেশনে বাধা দিচ্ছিল। কিন্তু, পড়ুয়াদের অনেকেই নাম রেজিস্টার করতে ইচ্ছুক ছিলেন। ৩ তারিখ আইসা এবং ডিএসও-র কিছু সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্ভার রুম বন্ধ করে দেয়। ওখানকার নিরাপত্তারক্ষীদের মারধরও করা হয়। ঐশী ঘোষের নেতৃত্বেই জমায়েত হয়েছিল। চার তারিখেও সার্ভার রুমে হামলা হয়। এদিন পিছনের দরজা দিয়ে ঢুকে সার্ভার রুমটি পুরোপুরি নষ্ট করে দেয় কিছু পড়ুয়া। এক্ষেত্রেও অভিযুক্ত চার বামপন্থী সংগঠন। এদিন বিকেলে পেরিয়ার হস্টেলেও হামলা হয়। বেছে বেছে কিছু পড়ুয়ার ঘরে হামলা চালানো হয়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এদের মধ্যে ৯ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে।’‌ দিল্লি পুলিশের পিআরও এমএস রানধাওয়া জানান, ‘‌এখনও কোনও অভিযুক্তকেই গ্রেপ্তার করা হয়নি। যাঁরা চিহ্নিত হয়েছেন, তাঁদের নোটিস দিয়ে ডেকে পাঠানো হবে এবং জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা হবে, আর কে কে তাঁদের সঙ্গে ছিলেন।’‌ পুলিশের বক্তব্যের পর ঐশী ঘোষ বলেন, ‘‌আমি কোনও মুখোশ পড়ে ছিলাম। আমি কোনও ভুল করিনি। আমার ওপরেই হামলা করা হয়েছে। আর তার প্রমাণ আমার রক্তমাখা জামা। আমরা দিল্লি পুলিশকে ভয় পাই না। আমরা আইন মেনেই চলব। শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যাব।’