হক জাফর ইমাম, মালদাঃ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া হুঁশিয়ারি পরেও মালদা জেলায় ফের প্রকাশ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দল। এবারে মালদা ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান এবং প্রাক্তন চেয়ারম্যানের সংঘাতে চরম উত্তেজনা ছড়ালো মালদা ইংরেজবাজার পৌরসভায়। মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটা নাগাদ শহরের সার্বিক অনুন্নয়নের অভিযোগ নিয়ে পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল দলের কাউন্সিলর কৃষ্ণেন্দু চৌধুরি , বর্তমান চেয়ারম্যান নীহার ঘোষকে অভিযোগ জানাতে যান। কিন্তু সেই সময় চেয়ারম্যান নীহার ঘোষকে তার অফিস ঘরে না পেয়ে অসন্তুষ্ট হয়ে পড়েন কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরী। এর পরেই ভাইস চেয়ারম্যান বাবলা সরকারের ঘরে চেয়ারম্যানকে দেখে আচমকাই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরি । আর সেই মুহূর্তেই ভাইস চেয়ারম্যানের ঘরে ঢুকেই অশালীন ভাষায় কথা বলে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তেড়ে যান প্রাক্তন চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু চৌধুরি বলে অভিযোগ। আর এনিয়েই পুরসভা চত্বরে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মালদা ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান নীহার ঘোষের অভিযোগ , প্রাক্তন চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরী তার সঙ্গে অশালীন ভাষায় কথা বলেছেন। তৃণমূল দলে এরকম
লোক থাকাটা আশ্চর্যের বিষয়। আমি ভাবতে পারছি না আমার সাথে উনি এরকম দুর্ব্যবহার করবেন। পুরো বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বকে জানাবো। এদিকে প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরি অভিযোগ, শহরে যত্রতত্র নোংরা আবর্জনার স্তুপ গড়ে উঠেছে। পুরো সভার বাজেট হয় না । সমস্ত কিছু উন্নয়নের কাজ মুখ থুবড়ে পড়েছে । আর সেই সব বিষয় নিয়ে এদিন পুরসভায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলাম চেয়ারম্যানের কাছে। কিন্তু তাকে অফিস ঘরে পাই নি। ভাইস চেয়ারম্যানের ঘরে উনি বসেছিলেন। অভিযোগ নিতে চাইছিলেন না । তবে তাকে কোনরকম দুর্ব্যবহার করা হয় নি। অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।এদিকে চেয়ারম্যান এবং প্রাক্তন চেয়ারম্যানের মাঝে পড়ে অস্বস্তিতে পড়তে হয় ভাইস চেয়ারম্যান বাবলা সরকারকে। এই বিষয়ে তিনি জানান, চেয়ারম্যান কে গালিগালাজ বা দুর্ব্যবহার করা হয়নি। সামান্য তর্ক বিতর্ক থেকে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। উপস্থিত অন্যান্য ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা থাকায় উত্তেজনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে।