কলকাতা: স্থায়ী কর্মীদের জন্য স্বেচ্ছাবসরের প্যাকেজ ঘোষণা করেছে বিএসএনএল। কিন্তু শিকে ছেড়েনি ঠিকাকর্মীদের। উল্টে খরচ কমাতে, অস্থায়ী কর্মী ছাঁটাইয়ের পথেই হাঁটছে সংস্থা। এই পরিস্থিতিতে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে দাঁড়িয়ে বিএসএনএল-এর ঠিকাকর্মীরা।দীর্ঘ আট মাস ঠিককর্মীদের বেতন দেয়নি বিএসএনএল। কবে দেবে, তারও কোনও ঠিকঠিকানা নেই। উল্টে সংস্থার নয়া ফরমানে কাজ হারানোর আশঙ্কায় অনেকেই। এই পরিস্থিতিতে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে বিএসএনএলের অনেক ঠিকাকর্মীদের।শোভাবাজারের দীপক চক্রবর্তী ৷ খালি পকেট। সংসার চালানো যেন দুঃস্বপ্নের সমান। তাও প্রতিদিন বাড়ি থেকে আফিস আসেন রামরাজাতলার কমল ধারা। দীপক চক্রবর্তী, কমল ধারাদের চেয়ে কিছুটা ভাল অবস্থা বারাসতের অরূপ দাসের। তিনি সংস্থার স্থায়ীকর্মী। কিন্তু মাইনে অনিয়মিত হওয়ায় সংসার চালাতে তাঁকেও পিএফ ফান্ড ভাঙতে হয়েছে। হাত পাততে হয়েছে পরিচিতদের কাছে। তাই স্থায়ী কর্মী হয়েও ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা বিএসএনএলের আরেক অস্থায়ী কর্মী অরূপ দাসের। তাঁর কথায়, ‘‘বাড়িতে দু’জন অসুস্থ। তাঁদের চিকিৎসা-ওষুধ। তার উপর মাইনে নেই। সংসার চালানো কার্যত অসম্ভব। আমাদের নিয়ে প্যাকেজ নেই। অনেক জায়গায় ধারদেনা। ইপিএফ ফান্ডেও হাত পড়েছে ৷’’ বিএসএনএলকে ঘুরে দাঁড় করাতে, পাশে থাকার আশ্বাস দিচ্ছে মোদি সরকার। তাও আশঙ্কা আর অনিশ্চয়তা কাটছে না কর্মীদের। তা সে স্থায়ী হোন বা অস্থায়ী।