দিল্লি হিংসায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৯। ৩০০ জনেরও বেশি জখম, অনেকের অবস্থা গুরুতর। এফআইআর দায়ের হয়েছে ১০৬ জনের বিরুদ্ধে। নর্দমা থেকে উদ্ধার হচ্ছে দেহ। একের পর এক বসতি ছারখার হয়ে গেছে। পরীক্ষা দিতে গিয়ে ঘরে ফেরেনি ১৩ বছরের কিশোরী। এমন অসংখ্য দুঃসংবাদ এবং উদ্বেহে যখন দিল্লি কার্যত বিধ্বস্ত, তখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর বৈঠকের পরে মন্ত্রক জানাল, “কোনও বড় ঘটনা ঘটেনি। জমায়েত নিষিদ্ধ করলেই পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে।” বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দিল্লির আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন অমিত শাহ। এর আগেও অবশ্য দফায় দফায় বৈঠক করেছেন তিনি। পথে নেমে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। রবিবার রাত থেকে চলা এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে একাধিক প্রাণ চলে যাওয়ার পরে বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বার্তা দিয়েছেন সৌভ্রাতৃত্ব রক্ষা করার। কিন্তু এসবের পরেও দিল্লির হিংসায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৯। সংখ্যাটি আরও বাড়বে বলেই মত সকলের। কারণ উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে হাঙ্গামা চলার সময়ে একটা বড় সময় ধরে সেখানে ঢুকতেই পারেনি পুলিশ। একের পর এক দেহ উদ্ধার হয়েছে সেখান থেকে। অনেককে মেরে খালে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে স্বয়ং পুলিশ।


