দেশ

‘দুপুরে ৩ বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে এফআইআর-এর নির্দেশের জেরেই কি রাতে বদলি হলেন দিল্লি হাইকোর্টর বিচারপতি!’ জল্পনা তুঙ্গে

নয়াদিল্লিঃ গতকাল, বুধবার দুপুরে ৩ বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছিলেন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি এস মুরলীধর। এদিন রাতেই তাঁকে দিল্লি হাইকোর্ট থেকে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে বদলি করে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। গেজেট নোটিফিকেশন দিয়ে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র, প্রকাশ ভর্মা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের বিরুদ্ধে এফআইআর করার ব্যাপারে বুধবার নির্দেশ দেন বিচারপতি এস মুরলীধর ও বিচারপতি তালওয়ান্ত সিংকে নিয়ে গঠিত দিল্লি হাইকোর্টের বেঞ্চ। তাঁরা এও জানিয়ে দেন, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টের মধ্যে এই নির্দেশ কার্যকর করতে হবে। পরে রাতে বদলির নোটিফিকেশন জারি হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই এদিনের ঘটানার সঙ্গে তা জুড়ে দেখা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে। তবে ঘটনা হল, মুরলীধরকে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে বদলি করার ব্যাপারে আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে কলেজিয়াম। গত ২০ ফেব্রুয়ারি কলেজিয়ামের সেই সিদ্ধান্তের পর দিল্লি হাইকোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা তীব্র আপত্তি করেছিলেন। তাঁদের বক্তব্য, মুরলীধর একজন নিষ্ঠাবান বিচারপতি। তাঁকে কোনও কারণ ছাড়া যেভাবে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে বদলি করার চেষ্টা হচ্ছে তাতে বিচারব্যবস্থার মধ্যে নেতিবাচক বার্তা যাবে। এমনকী বৃহস্পতিবার থেকে কর্মবিরতি পালনের হুমকিও দিয়েছিলেন বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। কিন্তু তার পরেও কলেজিয়ামের সেই সিদ্ধান্তে রাষ্ট্রপতি শিলমোহর দেন ও বুধবার সন্ধ্যায় সরকার নোটিফিকেশন জারি করে দেয়। বুধবারের শুনানির জন্য়ই যে বিচারপতি মুরলীধরকে রাতারাতি বদলি করা হল। ন্স কি তাঁকে বদলির সিদ্ধান্ত আগেই গৃহীত হয়েছিল। তবে হ্যাঁ, বিরোধী শিবিরের অনেকের মতে হাইকোর্টের এই বিচারপতির অনেক পর্যবেক্ষণ ও রায়ে খুশি নন মোদি সরকার। সে কারণেই তাঁকে বদলি করা হয়েছে বলে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।