কলকাতা: কংগ্রেস নেতা সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়কে আইনি সাহায্য করতে প্রস্তুত বিজেপি৷ শনিবার সেকথা জানালেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারিতে মমতার সরকারকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, ”ইরাক, সিরিয়াতেও এমন হয় না। স্বৈরাচারী সরকার শেষ সীমায় পৌঁছে গিয়েছে। ভয়ঙ্কর পরিবেশ।” তিনি আরও বলেন,”সন্ময়বাবু অন্য দলের লোক। যদি আমাদের সাহায্য চান, আমরা রাজি। আইনি সহযোগিতাও করব।”কংগ্রেস নেতা সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে বিজেপি। শনিবার সকালে তাঁর পানিহাটির বাড়িতে যান বিজেপির জয়প্রকাশ মজুমদার ও অগ্নিমিত্রা পল। রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি জয় প্রকাশ মজুমদার এদিন সন্ময়বাবুর গ্রেফতারি প্রসঙ্গে অভিযোগ করেন যে, “তৃণমূলের বক্তব্য অনুযায়ী এই রাজ্যে যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অঙ্গুলি হেলন ছাড়া কোন কাজ হয় না, সেখানে সন্ময় বাবুকে ও অনার নির্দেশেই গ্রেফতার করা হয়েছে। সন্ময়বাবু নিজের লেখনি দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করছেন। গনতন্ত্রে সরকারের কাজের বিরুদ্ধে সমালোচনা হতেই পারে সন্ময়বাবু তার লেখা ও মুখের কথা দিয়ে সেটা করেছেন তিনি অন্তত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত বিধানসভা ভাঙচুর করেননি।”সন্ময়বাবুর দাদা তন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। খড়দা থানায় সন্ময়ের উপর অত্যাচার চালিয়েছে পুলিশ’’।এ ঘটনায় সন্ময়কে ২ দিনের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। রবিবার তাঁকে ফের পুরুলিয়া আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন সন্ময়ের দাদা তন্ময়।ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মানহানি, শান্তিভঙ্গ, গুজব ছড়ানো এবং জালিয়াতি ও মানহানির জন্য জালিয়াতির মতো একাধিক অভিযোগ এনেছে পুলিস। তথ্য -প্রযুক্তি আইনের ৬৬ ধারাতেও আনা হয়েছে অভিযোগ। পরিবারের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে সন্ময়কে, জনা পঞ্চাশের একটি দল তুলে নিয়ে যায়। আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেফতারের কথা জানায়নি খড়দহ থানা।