জেলা

নয়া কায়দায় প্রতারণায় গ্রেফতার তিন

পূর্ব বর্ধমান: টোপ পুরষ্কার জেতা৷ এরপর একের পর এক টাকা বিভিন্ন অ্যাকাউইন্টে জমা করতে বলা৷ সেই মতো করলে জেতা যাবে পুরষ্কার৷ কিন্তু কয়েক হাজার টাকা জমা করার পরেও মেলেনি কোনো পুরষ্কার৷ এইভাবেই প্রতারিত হয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের কালনা থানার মাতিশ্বর গ্রামের বিশ্বনাথ চট্টোপাধ্যায়৷তাঁর খোয়া গিয়েছে প্রায় ৩৭ হাজার টাকা৷ ঘটনার কথা কালনা থানায় জানান প্রতারিত। থানা ডায়েরি নথিভুক্ত করে দায় সারে। বাধ্য হয়ে প্রতারিত বর্ধমানের সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে কেস রুজু করে পুলিশ৷ এরপরই নদিয়ার তিন যুবককে গ্রেফতার করে৷ ধৃতদের নাম সুনীল মাহাত, শশীভূষণ সিং ও রুদাল পাশোয়ান। নদিয়ার কল্যাণী থানা এলাকায় ধৃতদের বাড়ি। সুনীলকে তার বাড়ি থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে।তাকে সঙ্গে নিয়ে শশীভূষণ ও রুদালের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদেরও গ্রেফতার করা হয়। সুনীলের অক্যাউন্টে হাতিয়ে নেওয়া টাকা জমা পড়েছে বলে জেনেছে পুলিশ। রবিবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। হাতিয়ে নেওয়া টাকা উদ্ধারের জন্য এবং ব্যাংকের পাশবই, এটিএম কার্ড ও অন্যান্য নথিপত্র উদ্ধার করতে ধৃতদের ১০ দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে আদালতে আবেদন জানান তদন্তকারী অফিসার দীপক সরকার। ধৃতদের সাতদিন পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম রঞ্জনী কাশ্যপ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কালনা থানার মাতিশ্বর গ্রামের বিশ্বনাথ চট্টোপাধ্যায় এই বছরের ২৫ জুন সকালে তাঁর মোবাইলে একটি মেসেজ পান। তাতে একটি বেসরকারি সংস্থার লাকি ড্রতে তিনি উইনার হয়েছেন বলে তাঁকে জানানো হয়। তাঁকে ১২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা অথবা একটি গাড়ি দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। কিছুক্ষণ পর তাঁর কাছে সংস্থাটির ম্যানেজার পরিচয় দিয়ে তাঁর ফোন আসে। তাঁকে ফের পুরস্কার জেতার কথা জানানো হয়। পুরস্কার জেতার জন্য তাঁকে ৬ হাজার ৫০০ টাকা ফোন পাওয়ার ২৫ মিনিটের মধ্যে একটি সেভিংস অ্যাকাউন্টে জমা করতে বলা হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও টাকা জমা করেননি বিশ্বনাথ।