৩৭০ ধারা ইস্যুতে দেশজুড়ে একাধিক বিমানবন্দর এবং বড় শহরে নাশকতার ছক কষেছে জৈশ সহ পাক জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি। এমনটাই রিপোর্ট দিয়েছে গোয়েন্দা বিভাগ। গতকালই পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, কাশ্মীর নিয়ে ভারতের সিদ্ধান্ত পুলওয়ামার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছে। সেকথা মনে রেখে এবং গোয়েন্দাদের রিপোর্টের প্রেক্ষিতে অসামরিক বিমান পরিবহন নিরাপত্তা সংগঠন দিল্লি, কলকাতা, হায়দরাবাদ সহ দেশের ১৯টি বিমানবন্দরে হাই অ্যালার্ট জারি করেছে। চালু হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা বিমানবন্দরে। লাগেজ থেকে হাত ব্যাগ সবই দফায় দফায় চেকিং, পুলিশ কুকুর দিয়ে চেকিং। বিমানবন্দরে ঢোকার মুখ থেকে মোট ৫ দফায় সিআইএসএফের তল্লাশি নিচ্ছে। এছাড়াও বিমানবন্দরগুলিকে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে বিমানবন্দরে আসা প্রতিটি গাড়ির চেকপয়েন্ট টার্মিনালের এক কিলোমিটার আগে বা এমন স্থানে রাখতে হবে, যাতে টার্মিনালের আগে ব্যারিকেডের পর্যাপ্ত জায়গা থাকে। প্রতিটি গাড়ি ভালোভাবে পরীক্ষা করতে হবে। এমাসের ৩১ তারিখ অথবা পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মী এবং রাজ্য পুলিস যৌথভাবে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। ঘরোয়া উড়ানের যাত্রীদের তিন ঘণ্টা আগে এবং আন্তর্জাতিক উড়ানের যাত্রীদের চার ঘণ্টা আগে বিমানবন্দর পৌঁছতে হবে। দিল্লি বিমানবন্দরে যাত্রীদের নিতে বা বিদায় দিতে আসা মানুষদের জন্য নির্দিষ্ট স্থান আপাতত ২০ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ থাকছে।