কলকাতা ক্রাইম

পরিকল্পনা করেই একবালপুরে কিশোরীকে গণধর্ষণ

পরিকল্পনা আগে থেকেই তৈরি হয়েছিল । সেভাবেই পর্ণশ্রী থেকে একবালপুরের ফ্ল্যাটটিতে নিয়ে আসা হয় ক্লাস সেভেনের ওই ছাত্রীকে । সেখানেই একপ্রকার জোর করে তাকে মদ পান করানো হয়। তখন রাত প্রায় ৯টা । তারপর তার উপর একে একে ঝাঁপিয়ে পড়ে সবাই । জেরায় এই তথ্য উঠে এসেছে তদন্তকারীদের কাছে । যদিও নির্যাতিতাকে এখনও পর্যন্ত সেভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়নি। কারণ সে মানসিকভাবে একেবারেই বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে । স্কুলে যাতায়াতের সূত্র ধরে অমরজিৎ চৌপাল ওরফে রাহুল (২১) ও মনোজ শর্মা সঙ্গে আগে থেকেই পরিচিতি ছিল ওই কিশোরীর । রাহুলের বাড়ি মহেশতলা এলাকায় । মনোজ পর্নশ্রীর বাসিন্দা । এই দু’জনের সঙ্গেই ওই দিন সন্ধ্যায় বের হয়েছিল কিশোরী। বাইক চালাচ্ছিল রাহুল । মাঝখানে বসানো হয়েছিল ওই কিশোরীকে । তারপর সোজা নিয়ে যাওয়া হয় একবালপুরের ৪/৩/এইচ/৫১ ভূকৈলাশ রোডের ফ্ল‍্যাটটিতে । ওই ফ্ল‍্যাটটি সঞ্জয় মিরধার মায়ের । যদিও সে মায়ের সঙ্গে থাকে ২১/১ ময়ূরভঞ্জ রোডে । ভূকৈলাশ রোডের ফ্ল্যাটটি ফাঁকাই থাকত । মায়ের কাছ থাকত ওই ফ্ল্যাটের চাবি ৷ সেই চাবি আগে থেকেই নিজের কাছে রেখেছিল সঞ্জয় । ওই দিন সন্ধে থেকেই একবালপুরের ফ্ল্যাটে উপস্থিত ছিল ২৪ বছরের বিকাশ মল্লিক, সঞ্জয় মিরধা (২৮) ও তাদের বন্ধু রাঁচির ঋত্বিক রাম(১৯) । তারা আগে থেকেই মদ খেয়ে ছিল । কিশোরীকে নিয়ে রাত ন’টা নাগাদ ওই ফ্ল্যাটে পৌঁছায় রাহুল ও মনোজ । এরপর পরিকল্পনা মতোই শুধুমাত্র আনন্দ করার কথা বলে কিশোরীকে মদ পান করানো হয় । নেশাগ্রস্ত হয়ে গেলে ওই কিশোরীর উপর একে একে ঝাঁপিয়ে পড়ে তারা । তখন অবশ্য সঞ্জয় ওই ঘরে ছিল না বলেই তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ । পাশের একটি ঘরে বসে সে মদ্যপান করছিল । রাতভর চলে অত্যাচার । সকাল ন’টা নাগাদ হুঁশ ফেরে কিশোরীর । তখন ওই ঘরে কেউ ছিল না । সে ওখান থেকে বেরিয়ে কোনওরকমে চলে যায় সোজা পর্ণশ্রী থানায় । তখন রীতিমতো বিধ্বস্ত সে । কোনরকমে ডিউটি অফিসারকে গতরাতের সব কথা জানায় । সঞ্জয়কে গ্রেপ্তার করার পর ওই চারজনের মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর । আজ সঞ্জয়কে আদালতে পেশ করে নিজেদের হেপাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে পুলিশ ।