কলকাতা: ‘‘কেন্দ্রের কাছে কিছু টাকা পাওনা রয়েছে, তা আনতেই দিল্লি যাচ্ছি৷’’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করতে নয়াদিল্লি রওনা দেওয়ার আগে, মঙ্গলবার কলকাতা বিমানবন্দরে এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷মঙ্গলবার সকালেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ৬৯তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান মুখ্যমন্ত্রী৷ এরপর দিল্লি যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, অনেকদিন ধরেই কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের অনেক বরাদ্দ আটকে রয়েছে৷ সেই টাকা আনতেই দিল্লি যাত্রা৷ এছাড়া, প্রথম থেকেই ব্যাংকগুলির সংযুক্তিকরণের বিরোধিতা করে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বিএসএনএল ও এয়ার ইন্ডিয়ার মতো সংস্থাগুলি আর্থিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ায় এবং কর্মীরা মাইনে না পাওয়ায়, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তিনি৷ এই পরিস্থিতিতে বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে উক্ত বিষয়গুলি আলোচিত হতে পারে বলে আশ্বাস দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্যের জন্য আর্থিক প্যাকেজ-সহ একাধিক দাবিতে কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সেই চিঠির বিষয়ে আলোচনা করতে সরাসরি দিল্লি গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ প্রধানমন্ত্রীর মার্কিন সফর থাকায় প্রথমে এই সাক্ষাৎ নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও, পরে বুধবার বিকেল সাড়ে চারটেতে সাক্ষাতের সময় দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের তরফে৷জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর এবারের দিল্লি সফরে একাধিক রাজনৈতিক উদ্দেশ্যও রয়েছে৷ রাজধানীতে বিজেপিবিরোধী দলগুলির নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি৷ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাঁর যে ভূমিকা রয়েছে, তা আরও একবার ঝালিয়ে নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সমস্ত কর্মসূচি শেষ করে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর রাজ্যে ফিরবেন মুখ্যমন্ত্রী৷ দেড় বছর আগে বিশ্বভারতীয় সমাবর্তনে শেষবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ এর মধ্যে লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে বিপুল সাফল্য পেয়েছে বিজেপি৷ দ্বিতীয় মোদি সরকার গঠনের পর নীতি আয়োগের বৈঠকেও গরহাজির থেকেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ একুশের বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে রাজ্যে সম্মুখসমরে তৃণমূল-বিজেপি৷ এই পরিস্থিতিতে মোদি-মমতা বৈঠককে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷