দেশ

পাঠানকোট সেনাঘাঁটিতে ফের হামলার আশঙ্কা, চূড়ান্ত সতর্ক বায়ুসেনা

অমৃতসর: আত্মঘাতী হামলা হতে পারে জম্মু-কাশ্মীর, পঞ্জাব ও উত্তর প্রদেশের বায়ুসেনা ঘাঁটিতে৷ জইশ ই মহম্মদের মতো জঙ্গি সংগঠন এই হামলা চালাতে পারে খুব শীঘ্রই৷ গোয়েন্দা দফতর সূত্রে মিলছে তেমনই খবর৷ইতিমধ্যেই এই খবরের সূত্র ধরে সেনা ঘাঁটিগুলিতে কড়া নিরাপত্তা জারি করা হয়েছে৷ উচ্চপদস্থ গোয়েন্দা আধিকারিকদের একটি সূত্র বলছে সম্প্রতি কাশ্মীরে সক্রিয় হয়ে উঠেছে জইশের একটি মডিউল৷ এই মডিউলে রয়েছে ৮-১০ জন জঙ্গি৷ যারা শ্রীনগর, অবন্তীপোরা, জম্মু, পাঠানকোট ও হিন্দনের মত ভারতীয় বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলা চালাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে৷কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে এই সব ঘাঁটিগুলিতে৷ বারবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে৷ দুদিন আগেই পঞ্জাবের অমৃতসর সীমান্তে প্রচুর এ কে ৪৭ ও গ্রেনেড ফেলা হয়েছে৷ জানা গিয়েছে পাকিস্তানের ড্রোন মারফত এই অস্ত্রগুলি ফেলা হয়েছে৷ জম্মু কাশ্মীরে পাচারের ছক ছিল অস্ত্রগুলিকে৷সূত্রের খবর বেশ কিছু স্যাটেলাইট ফোনও উদ্ধার করা হয়৷ ৬, ৭, ৯, ১০ ও ১৫ই সেপ্টেম্বর পাক ড্রোন ব্যবহার করে অস্ত্রগুলি ভারত সীমান্তে ফেলা হয়৷ তারপরেই সতর্কতা জারি হয়৷ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে খালিস্তান জিন্দাবাদ ফোর্স বা কেজেডএফ গ্রুপের চারজনকে গ্রেফতার করে পঞ্জাব পুলিশ৷সোমবার এদের গ্রেফতার করার পর উদ্ধার হয় ১০ লক্ষ টাকার জাল নোট ও প্রচুর অস্ত্র৷ কাশ্মীরে হামলা চালাতে এই অস্ত্র ব্যবহার করা হত বলে মনে করা হচ্ছে৷উল্লেখ্য, ৪৮ ঘন্টা আগেই ভারতীয় সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত জানিয়ে দেন, পাকিস্তানের বালাকোটে ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে জইশ ই মহম্মদ জঙ্গিরা৷ সেখানে সক্রিয় জঙ্গি ক্যাম্প৷এদের হাত ধরেই ও পাক সেনার মদতে প্রায় ৫০০ জন জঙ্গি সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করার জন্য সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান৷ চেন্নাইতে এক সেনা প্রশিক্ষণ শিবিরে রাওয়াত বলেন সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ও বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের পর ভারত নিজের ক্ষমতা বুঝিয়েছিল৷ কিন্তু সেখান থেকে শিক্ষা নেয়নি পাকিস্তান৷মাত্র সাত মাস আগেই বালাকোটে এয়ারস্ট্রাইক করে জঈশ জঙ্গিদের ঘাঁটিতে আঘাত করেছিল বায়ুসেনা। তবে ফের পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের মদতে সেই ঘাঁটিতে নতুন করে সক্রিয় হয়েছে জঙ্গিরা। পুলওয়ামা হামলার পর বালাকোটে জইশের জঙ্গি ঘাঁটি উড়িয়ে দিয়েছিল বায়ুসেনা। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান প্রায় ১০০টি বোমা ফেলে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিল জইশের জঙ্গি ঘাঁটি। এই নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল গোটা বিশ্ব। পাকিস্তান প্রথম থেকেই সেই হামলায় ক্ষয়ক্ষতির কথা অস্বীকার করে আসছে।