পিরিয়ডস নিয়ে মোদির রাজ্যে যা ঘটল অতীব লজ্জাজনক ঘটনা। ঋতুমতী অবস্থায় প্রবেশ করা যাবে না মন্দিরে বা রান্নাঘরে। দীর্ঘ দিন ধরে এমনই নিয়ম চলে আসছে গুজরাতের এক আবাসিক কলেজে। তবে সে নিয়মের নাকি তোয়াক্কা করছেন না কলেজ পড়ুয়াদের একাংশ। ‘অপরাধী’কে চিহ্নিত করতে তাই ৬৮ জনেরও বেশি ছাত্রীর অন্তর্বাস খুলিয়ে নগ্ন করে খোঁজ চলল, ঋতুমতী কারা? গুজরাটের ভূজে শাহজানন্দ গার্লস ইনস্টিটিউটের মেয়েদের হস্টেলে ছাত্রীদের বিবস্ত্র করে খোঁজা হল সেই মুহূর্তে রজঃস্বলা কে বা কারা। আর এই ঘটনা ঘটেছে কলেজের প্রধান শিক্ষিকা এবং অন্যান্য শিক্ষিকাদের উপস্থিতিতে। হস্টেলের এক আবাসিক জানিয়েছেন, ঘটনার সময় হস্টেলে ৬৮ জন উপস্থিত ছিলেন। তাদের সকলকেই এই জঘন্য পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘কী যে অসম্ভব মানসিক যন্ত্রণা ছিল সেটা, তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। কতটা লজ্জা লাগছিল, তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না।’ অভিযোগ খতিয়ে দেখতে কচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য তথা সহজানন্দ ইন্সটিটিউটের ডিন দর্শনা ঢোলাকিয়া এবং গুজরাটের ডিজিপি শিবানন্দ ঝা-কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব তাঁরা তদন্ত করে কমিশনকে রিপোর্ট দেবেন।’ কমিশন আরও জানিয়েছে ওই ঘটনায় কচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও অন্তর্বর্তী তদন্তের নির্দেশ দিয়ে বলেছে রিপোর্ট পেলেই পরবর্তী পদক্ষেপ করবে তারা। প্রসঙ্গত, হস্টেলের বাগানে একটি স্যানিটারি ন্যাপকিন মেলার পর ছাত্রীরা রজঃস্বলা কিনা তা জানতে ৬৮ জন ছাত্রীর অন্তর্বাস খুলিয়ে পরীক্ষা করার অভিযোগ ওঠে হস্টেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এনসিডব্লু ওই ঘটনার জবাবদিহি চেয়ে পাঠিয়েছে সহজানন্দ গার্লস ইন্সটিটিউটের ট্রাস্টি প্রবীণ পিন্ডোরা এবং অধ্যক্ষ রীতা রানিগার কাছে। ছাত্রীদের নির্ভয়ে ওই ঘটনা এবং এধরনের আরও কোনও ঘটনা ঘটে থাকলে সেকথাও তাদের বলতে বিবৃতিতে আবেদন করেছে কমিশন।