হক জাফর ইমাম, মালদা: মালদা মানিকচক থানার পুলিশের বড় সাফল্য, যুবতী খুনের ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই কিনারা করে। গতকাল শনিবার সকালে মালদা মানিকচক থানা এলাকার কামালপুর গ্রামের নির্জন আমবাগানের এক যুবতীর অর্ধনগ্ন রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার পর থেকে রহস্য দানা বাধে। শুরু করে পুলিশ তদন্ত। তদন্তে যুবতীর পরিচয় জানতে পারে পুলিশ। যুবতীর বাড়ি বিহারের কিষানগঞ্জে। নাম রেশমী বেগম। এরপর পুলিশ খুনের মোটিভ খুজতে শুরু করে। মৃত রেশমী বেগমের পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য সংগ্রহশুরু করে। সেখান থেকে জানায় মানিকচক কামালপুরের আতিউর রহমান নামে এক যুবকের সাথে রেশমী বেগমের সম্পর্কের কথা।এরপর পুলিশ আতিউর রহমানের খোজ শুরু করে এবং তাকে গ্রেপ্তার করে। যদিও অভিযুক্ত যুবক আতিউর খুনের কথা অস্বীকার করেছেন। পুলিশ আতিউর রহমানকে আজ আদালতে তুলেছে। পুলিশ রিমান্ডের জন্য আবেদন করেছে। আতিউর রহমান এক স্বেচ্ছাসেবীর কর্মী হিসাবে কাজ করেন। তাছাড়া হম্প্রতি অ্যাকুপ্রেসার চিকিৎসক হিসাবে এলাকায় চেম্বারও করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে রেশমীর বাড়ি খেজুরবাড়ি, সিতালপুর,থানা পারকাট্টা,কিশনগঞ্জ,বিহারে।বাবা শেখ মোশারেফ। শেখ মোসারেফের একটি ইটভাটা রয়েছে। বছর চারেক আগে সেই ইটভাটা স্বেচ্ছাসেবী কর্মী হিসাবে গিয়ে রেশমী বেগমের সাথে পরিচয় হয় আতিউরের। সেই পরিচয় প্রণয়ের সম্পর্কে পরিণত হয়। এরপর রেশমীকে নিয়ে মুব্বাই এ চলে যায়। বছর খানেক আগে রেশমী আতিউরকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসে। তাদের বিয়েও হয়। কিন্তু চার মাস আগে আতিউর রেশমীর বাবার কাছে দেড় লক্ষ টাকা দাবী করে। টাকা না দিলে রেশমীকে ছেড়ে দেওয়ার হুমকী দেয় আতিউর। সেই টাকা না পেয়ে দুই আগেও ফোন মারফৎ রেশমীকে পরিত্যাগ করার কথা বলে। রেশমীর বাবা শেখ মোশারেফ ১৫দিনের মধ্যে টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন। কিন্ত তা মেনে নেয়নি আতিউর। এমনই অভিযোগ রেশমীর বাবা শেখ মোশারেফের।শেখ মোশারেফের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে আতিউরকে গ্রেপ্তার করে।