দেশ

‘বন্ধুদের নাম ছিল বলেই বিজেপি ব্যাংক জালিয়াতদের নাম প্রকাশ করেনি’, অভিযোগ রাহুলের

ভারতের ব্যাঙ্কগুলিতদের জালিয়াতকারীদের ৫০ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, তারপরেই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে কড়া আক্রমণ শানালেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি। তাঁর মন্তব্য, সংসদের থেকে তালিকা “গোপন” করেছে বিজেপি, কারণ, সেই তালিকায় শাসকদলের ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা রয়েছেন। একটি ভিডিও পোস্ট করে হিন্দিতে করা ট্যুইটে রাহুল গান্ধি লেখেন, “আমি সংসদে একটা সাধারণ প্রশ্ন করি, ৫০ জন শীর্ষ ব্যাঙ্ক জালিয়াতদের নাম বলুন। উত্তর দিতে অস্বীকার করেন অর্থমন্ত্রী। এখন নীরব মোদি, মেহুল চোক্সি, এবং অন্যান্য বিজেপির বন্ধুদের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে আরবিআই। এই কারণেই সংসদে সত্য গোপন করা হয়েছে”। তথ্য জানার অধিকার আইনে আবেদন করেন সাকেত গোখলে, তার উত্তরে ৫০ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করেন, যাঁরা বিভিন্ন ভারতীয় ব্যাঙ্কে জালিয়াতি ও ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপি করেছেন। ভারতের ব্যাঙ্কগুলিতদের জালিয়াতকারীদের ৫০ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, তারপরেই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে কড়া আক্রমণ শানালেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি । তাঁর মন্তব্য, সংসদের থেকে তালিকা “গোপন” করেছে বিজেপি, কারণ, সেই তালিকায় শাসকদলের ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা রয়েছেন। একটি ভিডিও পোস্ট করে হিন্দিতে করা ট্যুইটে রাহুল গান্ধি লেখেন, “আমি সংসদে একটা সাধারণ প্রশ্ন করি, ৫০ জন শীর্ষ ব্যাঙ্ক জালিয়াতদের নাম বলুন। উত্তর দিতে অস্বীকার করেন অর্থমন্ত্রী। এখন নীরব মোদি, মেহুল চোক্সি, এবং অন্যান্য বিজেপির বন্ধুদের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে আরবিআই। এই কারণেই সংসদে সত্য গোপন করা হয়েছে”।কংগ্রেসের অভিযোগ, ওই ৫০ জন খেলাপির ৬৮,৬০৭ কোটি টাকা মকুব করে দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার, তাঁদের মধ্যে রয়েছে পলাতক নীরব মোদি, মেহুল চোক্সি এবং বিজয় মালিয়া। কংগ্রেসের আরও অভিযোগ, ২০১৪ থেকে ২০১৯ এর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬.৬৬ লক্ষ কোটি টাকা মকুব করেছে সরকার। দেশের শীর্ষ ঋণ খেলাপিদের তালিকা প্রকাশ করেছেন কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা, তথ্য জানার আধিকার আইনের উত্তর অনুযায়ী সেই তালিকা প্রকাশ করে কেন সেই ঋণ মকুব করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর থেকে তার উত্তর চাওয়া হয়েছে। ভিডিও কনফারেন্সে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “এটা প্রমোটিং এর এক অন্যতম ঘটনা, “প্রতারণা, বিশ্বাসঘাতকতা, এবং পালানো’ মোদি সরকারের নীতি, যা আর সহ্য করা যাবে না, এবং প্রধানমন্ত্রীকে উত্তর দিতে হবে”। রণজীপ সুরজেওয়ালা আরও বলেন, “এটা মোদি সরকারের ভুল অগ্রাধিকার এবং সরকারের অসৎ উদ্দেশ্য”। ভারতের ব্যাঙ্ক ব্যবস্থার ওপর ওপর পরিশোধ না হওয়া ১০ লক্ষ কোটি টাকা ঋণের বোঝা রয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদসংস্থা রয়টার্স, সম্প্রতি কয়েকবছরে শাস্তি এড়াতে বেশ কয়েকজন খেলাপি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার কারণে বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে আসে, উচ্চমানের প্রতিষ্ঠানগুলিতে আর্থিক সঙ্কট দেখা দেয়। অসৎ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বিজেপির ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা, সেখানে বেশিরভাগ দুর্নীতির জন্য কংগ্রেসকে দায়ী করেছে সরকার, বলা হয়েছে, সরকার শুধুমাত্র চাপা পড়ে যাওয়া দুর্নীতি তুলে ধরেছে।