‘সিএএ হবেই’, শহিদ মিনারে এসে জোর গলায় ফের দাবি করলেন অমিত শাহ

কলকাতাঃ সিএএ ও এনআরসি নিয়ে লাগাতার বিরোধিতা তৃণমূল সরকারের। হিংসা বিধ্বস্ত দিল্লি। এই পরিস্থিতিতে আজ কলকাতায় আসছেন অমিত শাহ। শহিদ মিনারের সভা থেকে কার্যত পুরভোটের প্রচার শুরু করলেন তিনি। তিনি এদিন বলেন, ‘সিএএ হবেই। নাগরিকত্ব আমরা দেবই।’ কলকাতার শহিদ মিনারের জনসভায় এসে সিএএ-র পক্ষে এই ভাষাতেই সওয়াল করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই সঙ্গে দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতে ‘আর নয় অন্যায়’ কর্মসূচির উদ্বোধন করলেন। দিলেন ভোকাল টনিক এবং সিএএ সমর্থনের জন্য দুটি মোবাইল ফোন নম্বর। ‘আর নয় অন্যায়’ কর্মসূচি নিয়ে দলীয় কর্মীদের এদিন বাংলার ঘরে ঘরে যেতে নির্দেশ দেন অমিত। তিনি বলেন, বিজেপিকে ক্ষমতায় আনুন, ৫ বছরে সোনার বাংলা গড়ব। মমতা সরকার কেন্দ্রকে বাংলার উন্নতি করতে দিচ্ছে না। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার বানাবে বিজেপি। ২০১৯ সালে মানুষের আশীর্বাদে বাংলা থেকে ২ কোটি ৪০ লাখ ভোট পেয়েছে বিজেপি। তিনি বলেন, বিধানসভায় দুই তৃতীয়াংশ আসনে জিতবে বিজেপি। কোনও রাজপুত্রের হাতে আগামী বাংলার দায়িত্ব যাবে না। এই যাত্রা থামবে না। এই যাত্রা বাংলার উন্নয়নের যাত্রা।এই যাত্রা বাংলার চলা অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের যাত্রা। তিনি এও বলেন, আগে মমতা বলতেন বাংলায় বিজেপির জমানত জব্দ হবে। এখন বাংলা থেকে ১৮ সাংসদ গিয়েছেন লোকসভায়। মমতা দিদি আমাদের উপরে এত অত্যাচার করেও বিজেপিকে রুখতে পারছেন কি! আজকের সমাবেশ তৃণমূলের অন্যায়ের বিরুদ্ধে সমাবেশ। ৪০ জনেরে বেশি বিজেপি কার্যকর্তার মৃত্যু হয়েছে। এবার ‘আর নয় অন্যায়’ কর্মসূচি নিয়ে নতুন যাত্রা শুরু করবে বিজেপি। আজ যে অভিযান এখান থেকে শুরু হচ্ছে তা গ্রাম থেকে শহরে ছড়িয়ে পড়বে। বাংলার ঘরে ঘরে যেতে হবে বিজেপি কর্মীদের। এই লড়াই খুবই কঠিন লড়াই। তবু লড়তেই হবে। এই রাজ্যে তোষণ রাজনীতি আর চলবে না। তিনি আরও বলেন, ৩৭০ ধারা বাতিলের দাবিতে এই বাংলার শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় জীবন দিয়েছিলেন। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের স্বপ্ন পূরণ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অযোধ্যায় ভব্য রামমন্দির বানানোর জন্য আমরা ৫০০ বছর অপেক্ষা করেছি। আদালতের নির্দেশ পেয়ে ইতিমধ্য়েই ট্রাস্ট গঠন করে রামমন্দির বানানোর কাজ শুরু হয়েছে। সিএএ লাগু হলেও কোনও সংখ্যালঘুর নাগরিকত্ব যাবে না। এটা নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন। আমরা উদ্বাস্তুদের নাগরিকতা দিতে চাইছি। তাতে মমতা দিদির বিরোধিতা কেন? মমতা দিদি আমাদের রুখতে পারবেন না। সব হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পার্সি, খ্রিস্টান শরণার্থীদের আমরা নাগরিকত্ব দেবই। মমতা আমলে সব দিক থেকে পিছিয়ে যাচ্ছে বাংলা।মমতার আমলে প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে ১ জন দারিদ্রসীমার নীচে। বাংলায় এখন সরকারের উপর থেকে পঞ্চায়েত নিচু স্তর পর্যন্ত দুর্নীতি।





