কলকাতা

বিজেপিতে গিয়েও ‘ঘর ওয়াপসি’ কাউন্সিলরদের

জ্যোতির্ময় দত্ত, কলকাতাঃ উত্তর ২৪পরগনার ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে তৃণমূলের ভাঙ্গন প্রকট হয়ে উঠেছিল লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর পরই। নৈহাটি, কাঁচরাপাড়া, হালিশহর, ভাটপাড়া, নোয়াপাড়া সহ বেশ কিছু পৌরসভার তৃণমূলের কাউন্সিলররা দলবদল করে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। সেইসব কাউন্সিলরদের বড় অংশই আবার ফের পুরনো দলে ফিরে আসছেন। শনিবার তৃণমূল ভবনে নৈহাটি পুরসভার ১০ জন এবং নোয়াপাড়া পুরসভার ২জন কাউন্সিলর ফের তৃণমূলে নতুন করে যোগ দিলেন। আজ বিকালে তৃণমূল ভবনে তাদের স্বাগত জানালেন রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে ফিরহাদ হাকিম অভিযোগ করে বলেন, লোকসভা নির্বাচনে বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রটি বিজেপি দখল করার পর বিজেপি ওই এলাকায় সন্ত্রাস চালানো শুরু করেছিল। সেই সন্ত্রাসের কবলে পড়ে আমাদের দলের অনেক কাউন্সিলরই দল বদল করতে বাধ্য হয়েছিলেন। ভয়-ভীতি প্রদর্শন করেও অনেক কাউন্সিলরকে দল ভাঙিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা বুঝতে পেরেছেন তৃণমূলই তাদের আসল পরিবার। বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারছিলেন না তারা। ১০ জন কাউন্সিলর ফিরে আসায় এখন নৈহাটি পুরসভায় তৃণমূলের মোট কাউন্সিলর ২৩। গারুলিয়া পুরসভায় দুজন কাউন্সিলর দলে ফিরে আসায় এখন তৃণমূলের কাউন্সিলর বেড়ে দাঁড়াল ১০। বারাকপুর শিল্পাঞ্চল এলাকায় বিজেপি এখনো সন্ত্রাস চালাচ্ছে বলে এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি এ দিন আরও বলেন যারা চলে গিয়েছিলেন তারা সবাই একে একে ফিরে আসছেন। কারোর মাথা খারাপ বা ভ্রম না হলে কেউই তৃণমূল ছেড়ে যাবেন না। যারা নতুন যাচ্ছেন তারাও ফিরে আসবেন। শুধু কাউন্সিলরাই নন,এদিন বিজেপি যুব নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন। সিপিএম যুবনেতা প্রাঞ্জল গুহনিয়োগীও এদিন তৃণমূলে যোগদান করেন। রাজ্যের বেশ কয়েকটি পুরসভার মেয়াদ ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে। বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে ওই পুরসভা গুলিতে অবিলম্বে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে। শনিবার ফিরহাদ হাকিম এপ্রসঙ্গে বলেন, মেয়াদ শেষ হওয়া পুরসভা গুলিতে একই সঙ্গে নির্বাচন হবে। আগামী বছর এই পৌরসভা গুলির নির্বাচন হওয়ার ইঙ্গিত দেন তিনি।