মালদা

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিশুর মৃত্যু

হক জাফর ইমাম, মালদা: বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক শিশুর। ঘটনাটি ঘটেছে মালদা মানিকচক থানা এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ছোট্ট বিট্টু তার বন্ধুদের সাথে বাড়ির পাশেই বৃষ্টিতে ভিজে স্থান করছিল স্নান করতে করতে হঠাৎ এসে হাত দেয় বৈদ্যুতিক খুঁটির গায়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান বৈদ্যুতিক খুঁটিতে হাত দেওয়া মাত্রই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট, ঘটনাস্থলেই সংজ্ঞাহীন অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে ছোট্ট বিট্টু। তড়িঘড়ি গ্রামবাসীরা তাকে নিয়ে ছুটে আসেন স্থানীয় মালদা মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে, সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক বিট্টু কে পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করে।মৃত বিট্টুকে ফেরত নিয়ে আসা হয় তার বাড়িতে।কিন্তু মায়ের মন মানতে চায়নি তার ছেলের মৃত্যুর ঘটনা,ছেলেকে বাঁচাতে প্রাণপণ চেষ্টা চালাতে থাকে মা বিজল মন্ডল।গরম তেল দিয়ে বিট্টুর হাত পা মালিশ করতে থাকে,মুখে গরম দুধ দেয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি সেই সময় বিট্টু নাকি হাত পা নাড়াচাড়া করছি। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় এলাকা জুড়ে, এলাকার মানুষেরা দাবি করে বিট্টু এখনো বেঁচে আছে গ্রামের সকলে মিলে আবারো বিট্টু কে নিয়ে ছুটে আছে মালদা মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে।কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে আবারও মৃত বলে দাবি করে এতেই ক্ষেপে ওঠে গ্রামবাসীরা।তাদের দাবি চিকিৎসকের গাফিলতিতেই মৃত্যু হয়েছে বিট্টুর।তাদের অভিযোগ ঠিকমতো পরীক্ষা ছাড়াই কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করে বিট্টু কে,সেই সময় ঠিক চিকিৎসা হলে বিট্টুকে মরতে হত না। ঘটনায় গ্রামবাসীরা হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে।তবে মানিকচক গ্রামীন হাসপাতালের বিএমওএইচ হেম নারায়ন ঝা এর দাবি বৈদ্যুতিক স্পর্শে মৃত্যু হয়েছিল,মৃত্যুর পর পেশী সংকোচন হয় তাই দেখে হয়তো ভুল বুঝেছে গ্রামবাসী।তবে বি এম ও এইচ এর দাবি মৃত বিট্টুকে পর্যবেক্ষণের জন্য হাসপাতালে রাখতে বলা হয়েছিল পরিবারকে । তার দাবি পোস্টমর্টেমের ভয়ে মৃত বিট্টু কে নিয়ে চম্পট দেয় তার পরিবারের লোকজন।ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতাল চত্বরে ছুটে আসেন মালদা মানিকচক থানার ওসি দেবব্রত চক্রবর্তী গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ সামাল দেয়।পরে মানিকচক থানার ওসি ও বি এম ও এইচের হস্তক্ষেপে বিক্ষোভ তুলে নেয় গ্রামবাসীরা।