মালদা

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুন

হক জাফর ইমাম, মালদা: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুন করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে পুরাতন মালদার শর্বরী এলাকায়। মৃতের স্ত্রীর অভিযোগ, স্বামীকে বাঁচাতে তিনি চিৎকার করে প্রতিবেশীদের সাহায্য চান। কিন্তু কেউ তাঁর স্বামীকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি। এমনকি থানায় ফোন করলেও পুলিশ আসেনি বলে তাদের অভিযোগ। পরিবারের দাবি পুলিশ আসলে তাঁর স্বামীকে এভাবে খুন হতে হত না। ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে মালদা থানার পুলিশ।
মৃত ব্যক্তির নাম ভূপাল প্রামাণিক (৫০)। পেশায় বাঁশের হস্তশিল্পী ছিলেন তিনি। মৃত্যু ও ভূপাল প্রামাণিকের স্ত্রী তপতী প্রামাণিক বলেন, বছর দুয়েক আগে এলাকারই বাসিন্দা সীমা দাস নামে একটি মেয়ে বাঁশের কাজ শিখতে আমাদের বাড়িতে আসে। সে তাঁর স্বামীকে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে সে অভিযোগ করে, স্বামী নাকি তাকে ধর্ষণ করেছে। সে তার জন্য ১০ লক্ষ টাকা দাবি করে। টাকা দিতে না পারায় সে স্বামীর নামে থানায় অভিযোগ জানায়। এরপরেই স্বামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত ১০ জুলাই তার জেল হয়। গত ১৬ অগাস্ট সে জেল থেকে ছাড়া পায়। এদিকে সীমার পরিবারের লোকজন হুমকি দেয়, ১০ লক্ষ টাকা না দিলে তার স্বামীকে খুন করে ফেলবে। অবশেষে সোমবার সন্ধ্যায় সীমা, তার বাবা মিলন দাস সহ ১০-১২ জন তার বাড়িতে চড়াও হয়। প্রথমে তারা বাইরে থেকে অশ্রাব্য গালিগালাজ শুরু করে। ভয়ে সদর দরজায় তালা দিয়ে স্বামীকে নিয়ে রান্নাঘরে চলে যান তিনি। চিৎকার করে সবাইকে ডাকতে থাকেন। পুলিশে ফোন করেন। কিন্তু পুলিশ কিংবা পাড়ার লোকজন স্বামীকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি বলে অভিযোগ। থানার বড়োবাবুকেও অনেকবার ফোন করেছেন তিনি। একসময় সীমার বাড়ির লোকজন বাড়ির দরজা ভেঙে রান্নাঘরে ঢুকে স্বামীকে পিটিয়ে মেরে ফেলে। পুলিশ সময় মতো আসলে তাঁর স্বামী এভাবে খুন হত না বলেও দাবি করেন তিনি। তাঁর চোখের সামনেই ছটফট করতে করতে মারা যায় তার স্বামী। মালদা জেলা পুলিশ সুপার অলক রাজোরিয়া বলেন এই ঘটনায় মিলন দাস নামে অভিযুক্ত ও তার স্ত্রী-কে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। অভিযুক্তদের মঙ্গলবার আদালতে তোলা হয়।