দেশ

বিভিন্ন জোনে ছাড় নিয়ে দফায় দফায় ব্যাখ্যা কেন্দ্রের, বিভ্রান্তি চরমে

নয়াদিল্লিঃ রেড, অরেঞ্জ ও গ্রিন জোনের কোথায় কোন কাজ শুরু করা যাবে এবং কোথায় কোথায় ছাড় দেওয়া হচ্ছে, সেই তালিকা নিয়ে চরম বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। সংশয় এতটাই বেড়ে চলেছে যে, মোদি সরকার দফায় দফায় সংশোধিত তালিকা প্রকাশ করছে। গতকাল বিস্তারিত তালিকা প্রকাশের পর আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নতুন করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, অরেঞ্জ জোনের জেলাগুলির মধ্যে সাধারণ মানুষ এবং গাড়ি, ট্যাক্সি যাতায়াত করতে পারবে। কিন্তু বাস চলবে না। অরেঞ্জ জোনে যে কাজগুলির জন্য ছাড় দেওয়া হয়েছে, শুধু সেই কাজেই যাতায়াত করতে পারবে মানুষ। তবে একটি জেলা থেকে অন্য জেলায় গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করা যাবে শুধু জরুরি ভিত্তিতে বিশেষ অনুমতিপত্র সংগ্রহ করে। অর্থাৎ কে কোন কাজে অরেঞ্জ জোনের এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাচ্ছে, তার প্রমাণপত্র দেখাতে হবে। তবে বাস জেলার মধ্যেও চলবে না, জেলা থেকে জেলাতেও চলবে না। বাস চলবে শুধুই গ্রিন জোনে। তাও ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে। এর ফলে গ্রিন জোন খোলা থাকলেও অরেঞ্জ জোন বা রেড জোন থেকে সাধারণ মানুষ গ্রিন জোনে আসতে পারবে না। কারণ ট্যাক্সিতে যাতায়াত সকলের পক্ষে সম্ভব নয়। আর প্রাইভেট গাড়ি মুষ্টিমেয় মানুষেরই আছে। অর্থাৎ কোনও নিত্য যাত্রী অরেঞ্জ বা রেড জোন থেকে সহজে গ্রিন জোনে আসতে পারবে না। আরও ২সপ্তাহের জন্য লকডাউনের সময়সীমা বৃদ্ধির পাশাপাশি সবথেকে বেশি যে নির্দেশিকা ঘিরে সংশয় তৈরি হয়েছে সেটি হল, সন্ধ্যা ৭ টা থেকে পরদিন সকাল ৭ টা পর্যন্ত এই ১২ ঘন্টা জরুরি ক্ষেত্র ছাড়া পণ্য ও মানুষের যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। রাজ্যগুলিকে বলা হয়েছে, প্রয়োজনে ১৪৪ ধারা জারি করা হোক। এই নিয়মটি গ্রিন, অরেঞ্জ, রেড সব জোনের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। প্রশ্ন উঠছে, একদিকে যেখানে প্রায় সব জোনেই শিল্প ইউনিট, প্রাইভেট অফিস, দোকানাপাট, জীবিকার কাজকর্ম শুরু করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, সেখানে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যেই রাস্তায় যাতায়াতে নিয়ন্ত্রণ করা হলে অফিস ও উৎপাদন কার্যকর করা কি সম্ভব? বস্তুত বাস ও ট্রেন যতক্ষণ না চলছে, ততক্ষণ স্বাভাবিকতায় ফেরার কোনও সম্ভাবনাই নেই। রেড জোন ও অরেঞ্জ জোনে বাস চলবে না। আর হটস্পট তথা অতি স্পর্শকাতর জোনে জরুরি পরিষেবা ছাড়া কিছুই ঢুকবে বা বেরোবে না। বলা হয়েছে, রেড জোনে প্রাইভেট অফিস চলতে পারে। কিন্তু বাস ও ট্রেনের অনুমোদন না থাকায় এই অফিসে কর্মীদের যাতায়াতের প্রশ্নই নেই। আর কোনও সংস্থাই রেড জোনে অফিস খুলতে রাজি হচ্ছে না। এখন দেশের মোট ৭৩৩ টি জেলার মধ্যে ৪১৪টি জেলাই রেড ও অরেঞ্জ জোনের অন্তর্ভুক্ত।